আমার বোন বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে আমি কীভাবে একাকিত্বের মোকাবিলা করেছিলাম
অনেক বছর ধরে আমার বড় বোন আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। আমরা সবকিছুই একসাথে করতাম। আমরা একই রকম পোশাক পরতাম, একই খাবার খেতে আর একই ধরনের মুভি দেখতে পছন্দ করতাম। এমন কি সেই আমাকে পড়তে ও লিখতে শিখিয়েছিল। আমার মা-বাবার আমাদের মধ্যে মাত্র একজনকেই স্কুলে পাঠানোর সামর্থ্য ছিল, তাই আমি আজ যা কিছু জানি সেগুলো সেই আমাকে শিখিয়েছিল। এমন কি আমার প্রথম যেবার মাসিক হয়েছিল, তখন সেই আমাকে শিখিয়েছিল কী করতে হবে। আমি তাকে খুব খুব খুব বেশি ভালবাসি।
যাই হোক, তার বিয়ের পরে অবস্থা পালটে গিয়েছিল। তাকে তার স্বামীর সঙ্গে অন্য একটা শহরে চলে যেতে হয়েছিল। এই জায়গাটা আমার ও আমার মা-বাবার থেকে 7 ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। আমি যেহেতু স্কুলে যাই নি, তাই দীর্ঘ সময় ধরে সেই আমার একমাত্র বন্ধু ছিল। এখন সে দূরে চলে যাচ্ছিল আর আমার কোনো ধারণাই ছিল না যে আমি এরপরে কখন তাকে আবার দেখতে পাবো।
সে চলে যাওয়ার পরে আমি আমার ঘরেই ছিলাম, কারণ আমার মনে হয়েছিল আমার কথা বলার মত অন্য কোনো মানুষ ছিল না। আমার মা আমাকে তার সঙ্গে টেনে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু আমার কখনই বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে হয় নি। তিনি একদিন বাড়ির জন্য খাবার কিনতে তাকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে তাকে অনুসরণ করে বাজারে যেতে আমাকে জোর করেছিলেন। আমরা একটা স্টলে পৌঁছানোর পরে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে মামা গ্লোরিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন, যিনি সবজি বিক্রি করতেন। আমি উদাস হয়ে এক কোণে বসেছিলাম, যতক্ষণ না আমার বয়সী দেখতে একটি মেয়ে আমার কাছে এসে আমার কাঁধে চাপড় মেরেছিল। সে ছিল মামা গ্লোরিয়ার মেয়ে বেলিন্ডা।
আমরা কথা বলেছিলাম, আর দেখা গিয়েছিল যে আমাদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য ছিল। তার বড় বোন গত বছর বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তাই সে এখন বাড়িতে একমাত্র বাচ্চা। আমি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে সে কীভাবে একাকিত্বের মোকাবিলা করেছিল, তখন সে আমাকে আজ পর্যন্ত সেরা পরামর্শ দিয়েছিল! সে আমাকে এই কথা বলেছিল:
আমি বেলিন্ডার উপদেশ শুনেছিলাম আর এখন আমি আগের চেয়ে অনেক ভাল বোধ করি। একাকিত্ব চলে গেছে আর আমি নতুন বন্ধু তৈরি করার জন্য খুশি!
Share your feedback