তারা সত্যিই খুব একটা আলাদা নন!
আমি একদিন স্কুলে ইংরেজি ক্লাসে ছিলাম, আর অনুভব করেছিলাম যে আমার ভিতরে অদ্ভুত কিছু একটা চলছে। আমি নিচের দিকে তাকিয়ে উপলব্ধি করেছিলাম যে ক্লাসের মধ্যেই আমার মাসিক শুরু হয়েছিল। হে ঈশ্বর, ক্লাসের মধ্যে কেন? সবার সামনে ক্লাসের ভিতরে কেন? আমি জানি যে মাসিক স্বাভাবিক ব্যাপার, কিন্তু আমি একটু লাজুক ছিলাম, তাই আমি শিক্ষককে একটা নোট লিখেছিলাম আর আমার বন্ধুর হাতে দিয়েছিলাম তাকে দেওয়ার জন্য। কখনও কখনও আপনি যখন কথা বলতে লাজুক বোধ করেন, তখন চিঠি লেখা একটা ভাল বিকল্প হতে পারে। শিক্ষক আমার দিকে তাকিয়ে গোপনে হেসেছিলেন, আর তারপরে কড়া গলায় বলেছিলেন “সবাই 10 মিনিটের বিরতির জন্য বাইরে যাও, সিন্টা তুমি ক্লাসে থেকে যাও”। হাহ৷ সবাই ভেবেছিল যে আমি সমস্যায় পড়েছিলাম, কিন্তু বাস্তবে আমার শিক্ষক আমাকে সাহায্য করছিলেন।
আমি তার কাছে পরামর্শ চেয়েছিলাম যে আমার মা-বাবাকে কীভাবে জানানো যায়। আমি লাজুক ছিলাম, কারণ আমার মা আর আমি ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করি না। যাই হোক, তিনি আমাকে একটা নতুন দৃষ্টিকোণ দিয়েছিলেন। সব মহিলারই মাসিক হয় আর আমার মা আমার অভিজ্ঞতাটা বুঝতে সক্ষম হবেন। তিনিও তো এক সময় ছোট মেয়ে ছিলেন।
মিসেস এন্দালি আরো বলেছিলেন, আমার মা উপভোগ করবেন এমন একটা মজাদার কার্যকলাপের সময় তার কাছে যেতে। সেই ক্ষেত্রে আমরা দুজনেই অত্যন্ত শান্ত থাকব আর কথোপকথনটা ভালভাবে এগোবে। আমি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরে মাকে আমার সঙ্গে একটা কেক বেক করতে বলেছিলাম। তিনি কেক বেক করতে ভালবাসেন, আর আমরা কেক সাজানোর সময় আমি তাঁকে আমার দিনটার ব্যাপারে বলেছিলাম। তিনি আমাকে খুবই সমর্থন করেছিলেন আর আমাকে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আলিঙ্গন করেছিলেন। আমি খুবই চাপমুক্ত হয়েছিলাম।
আমার বয়স এখন 18, আমি ও আমার মা খুবই ঘনিষ্ঠ এবং আমরা যে কোনো ব্যাপারে কথা বলতে পারি। আমি আমার মাকে একজন বড় হয়ে ওঠা স্প্রিংস্টার হিসেবেই দেখি। তিনি পুরোপুরি বোঝেন যে আমি জীবনে কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছি, আর স্প্রিংস্টারদের মত একই রকম ভাবে আমাকে উৎসাহিত করেন। আমাদের বড় হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা একই রকম ছিল, তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণই আমার নেই। আমি তাঁকে ভালবাসি আর তিনি আমাকে আরো বেশি ভালবাসেন!
Share your feedback