সোচ্চার হওয়ার সময় এসেছে এখনই!

আপনার মনে যদি কোনো আগুন থাকে তাহলে তা বের হতে দিন।

আমি সবসময়ই শিল্পকলা ও কাপড় পছন্দ করতাম। আমি যখনই আঁকি, আমার দারুন ভাল অনুভূতি হয়, মনে হয় আমার মন আনন্দ ও আবেগে ভরে গেছে। আমি আমার মনের গভীরে অনুভব করতাম যে আমার যদি একটা নিজের ফ্যাশন লেবেল থাকত। আমার স্কুলে কোনো শিল্পকলার বিষয় ছিল না, তাই আমার দক্ষতার উন্নতি করার জন্য আমি স্কুলের পরে সেলাই ও আঁকার ক্লাসে যাওয়ার কথা ভেবেছিলাম। একমাত্র সমস্যা ছিল যে আমার বাড়িতে সবাই আমাদের পারিবারিক রেস্তোরাঁয় কাজ করে। আমার বাবা আমাকে শুধু বলেন যে “আমি তোমার জন্য বড় স্বপ্ন দেখি যে তুমি রেস্তোরাঁয় ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করছো।” আমার বাবা আমার জন্য স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু আমি নিজের জন্য অন্য স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না যে আমি কীভাবে খবরটা তাকে বলব। তার একমাত্র মেয়ে তার রেস্তোরাঁয় কাজ করতে চায় নি।

স্প্রিংস্টার এর উপরে আত্মবিশ্বাসের বিষয়ে প্রবন্ধগুলো পড়ার পরে একদিন সন্ধ্যায় আমি বাবাকে এটা বলার জন্য যথেষ্ট সাহস জড়ো করেছিলাম যে আমি ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চাই। গল্পের এই অংশটা যদি এমন হত যে আমার বাবা হ্যাঁ বলেছিলেন আর সবকিছু ভালভাবে মিটে গিয়েছিল, তাহলে কী ভালই না হত। দুর্ভাগ্যবশত তিনি মোটেই খুশি হন নি... তিনি আমাকে কয়েক লক্ষ প্রশ্ন করেছিলেন যার উত্তর আমি দিতে পারি নি। আমি কাঁদতে কাঁদতে উঠে গিয়েছিলাম আর আমার ঘরে গিয়েছিলাম... কথোপকথনটা যেভাবে এগিয়েছিল তাতে আমি খুবই বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম। আমার দাদা ঘরে ঢুকেছিল, কারণ সে পুরো কথোপকথনটা শুনেছিল। সে বলেছিল, “ম্যাজি, তোমার একটা পরিকল্পনা প্রয়োজন”। “তুমি কোন কোর্সটা করতে চাও সেই ব্যাপারে কোনো ধারণা ছাড়া কিংবা তোমার ডিজাইন করা পোশাকগুলোর উদাহরণ ছাড়াই তুমি বাবার কাছে যেতে পারো না। তুমি কীভাবে আশা করতে পারো যে উনি তোমাকে বিশ্বাস করবেন তুমি সত্যিই এটা চাও।” ওর কথায় যুক্তি ছিল!

তাই পরের কয়েক মাস ধরে আমি একটা সেলাই মেশিন ভাড়া নেওয়ার জন্য টাকা সঞ্চয় করেছিলাম আর স্কুলের পরে কাজ করে আমার সব আন্টিদের জন্য স্কার্ফ বানিয়েছিলাম, যাতে বাবাকে দেখানো যায় যে আমি সত্যিই এটা চেয়েছিলাম। আমি বাড়ির কাছে একটা সেলাই কোর্স খুঁজে পেয়েছিলাম, যার মানে হল আমি তারপরেও কয়েক দিন রেস্তোরাঁয় কাজ করতে পারতাম। 6 মাস পরে আমি আরেকবার চেষ্টা করেছিলাম। আমি আবার বাবার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আর এইবার তিনি পুরোপুরি আমার পক্ষে ছিলেন!

তাই স্প্রিংস্টাররা আমার থেকে শেখো, আর তোমার স্বপ্নের ব্যাপারে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় এই ধাপগুলো অনুসরণ কর

  1. তোমার কথোপকথনের পরিকল্পনা করার জন্য সময় নাও। তোমার সবকটি বক্তব্য প্রস্তুত রাখো আর যদি পারো, একজন দাদা বা দিদির সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা কর।
  2. একটা কর্ম পরিকল্পনা তৈরি কর আর এর ওপরে কাজ করতে শুরু কর, যাতে তোমার কাছে দেখানোর মত কিছু থাকে। তারা যখন দেখতে পান যে তুমি ইতিমধ্যেই তোমার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করা শুরু করেছো, তখন এটা সহায়ক হয়।
  3. তাদের সঙ্গে এমন একটা সময়ে কথা বলতে চেষ্টা কর যেটা তাদের পক্ষে সুবিধাজনক। প্রথম বারে কথোপকথনটা যদি ভালভাবে না এগোয়, তাহলে নিরুৎসাহিত হয়ে পড় না। অটল থাকো আর তাদের কাছে পরামর্শ চাও যে তুমি কীভাবে তোমার ধারণাটাকে উন্নত করতে পারো।

তুমি যদি তাদের সঙ্গে কথা বলতে এখনও স্বচ্ছন্দ না হও, তাহলে একটা চিঠি লিখতে চেষ্টা কর অথবা অন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে তোমার হয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলো।

Share your feedback