সবচেয়ে ভাল বন্ধু উদ্ধার করতে এগিয়ে এসেছে!

আমার প্রিয় বন্ধু কীভাবে আমাকে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল।

আমার নাম আরানি আর আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি রংপুর অঞ্চলে থাকি। আমার পরিবার ও আমি দেশের অন্য একটা অংশে চলে গিয়েছিলাম কারণ আমার নিজের শহরে কোনো চাকরি ছিল না। আমি যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করেছিলাম তখন সবাই বুঝতে পারত যে আমি তাদের থেকে আলাদা ছিলাম। লোকজন আমাকে নিয়ে মজা করত আর আমাকে খারাপ কথা বলত কারণ আমি দেখতে আলাদা ছিলাম। আমি একা অনুভব করতাম, কারণ আমার কথা বলার কেউ ছিল না। আমি আমার বাড়ির সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু বর্ণিনিকে ফোন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যা ঘটছিল সেই ব্যাপারে তাকে বলার জন্য। সে আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল যে আমি গুরুত্বপূর্ণ। সে আমার অনন্য ক্ষমতা ও চমৎকার ব্যক্তিত্বের বিষয়ে আমাকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছিল। সে যা করেছিল ঠিক সেভাবেই, আমি শীঘ্রই এমন বন্ধু তৈরি করেছিলাম যারা আমাকে ভালবাসত আর আমার বন্ধুত্বের যোগ্য ছিল।

সে আমাকে আরো শিখিয়েছিল যে সৌন্দর্য ভিতর থেকে আসে, অন্যরা আমার ব্যাপারে কী ভাবে তার ভিত্তিতে নয়। তার কথাগুলো সত্যিই আমাকে উৎসাহ দিয়েছিল, যেটা স্কুলে মস্তানদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমার প্রয়োজন ছিল।

আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য সে আমাকে ফোনে একটা সত্যিকারের ভাল অনুশীলন শিখিয়েছিল। আমি একটা কাগজের পাতা নিয়েছিলাম আর লোকজন স্কুলে আমার ব্যাপারে যে সব নেতিবাচক কথা বলছিল সেই সবগুলো আমি এতে লিখেছিলাম। এটা হয়ে যাওয়ার পরে আমি কাগজটা মুচড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলাম। #byehaters তারপরে আমি আরেকটা কাগজের পাতা নিয়েছিলাম আর আমার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে একসাথে আমার সব ইতিবাচক দিকগুলো তাতে লিখেছিলাম আর এটা আমার সঙ্গে সব জায়গায় নিয়ে যেতাম।

এখন প্রত্যেক সকালে অথবা আমি যখনই মনমরা হিয়ে পড়ি তখনই জোরে জোরে পড়ি যে আমি শক্তিশালী, আমি মূল্যবান, আমি প্রতিভাবান, আমি চমৎকার! নিজেকে এইভাবে দেখলে, তা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, যেটা নতুন মানুষদের সঙ্গে দেখা করা আর আসল বন্ধু তৈরি করার জন্য আমার প্রয়োজন।

আমার প্রিয় বন্ধুকে ছাড়া আমি কী করব? যদিও আমরা অনেক মাইল দূরে থাকি, তবুও সে আমাকে নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখতে শিখিয়েছিল আর আমার আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলেছিল। বন্ধুত্ব এমনই হয়, একে অন্যকে গড়ে তুলতে হয়। সব কিছুর মধ্যে বর্ণিনি পাহাড়ের মত আমার পাশে থেকেছে, আর আমি তার উপদেশ মেনে চলে তাকে গর্বিত করতে থাকব, আর নেতিবাচক মনোভাবকে বিদায় জানাব। মানুষের সবসময়ই কিছু না কিছু বলার থাকবে, কিন্তু আমার চারপাশের ভাল বন্ধুদের সাহায্যে আমি ইতিবাচক দিকগুলোর ওপরে মনযোগ দেওয়াকে বেছে নিয়েছি!

Share your feedback