আপনি কি মনে করেন যে কথা বলার কেউ নেই?

এমন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ আছেন যাদের আপনি বিশ্বাস করতে পারেন

আমার নাম সতু। আমার বয়স 13 বছর। আমার মা-বাবা একটা ছোট গ্রামে থাকেন। তারা আমার ও আমার 4 ভাইয়ের দেখাশোনা করতে পারেন নি। তাই আমি শহরে আমার চাচী ও চাচার সঙ্গে থাকতে এসেছিলাম। আমি গত বছরের জুন মাস থেকে এখানে আছি। আমি প্রথম যখন শহরে এসেছিলাম তখন খুবই একা ছিলাম।

আমার চাচী ও চাচার তিনজন বড় ছেলে আছে। আমার চাচী তার ব্যবসার জন্য অনেক ভ্রমণ করেন। তাই আমি তার সঙ্গে খুব একটা ঘনি‌ষ্ঠ ছিলাম না। আমি অনুভব করতাম আমার কথা বলার কেউ ছিল না। গত মাসে আমার যখন মাসিক শুরু হয়েছিল, তখন আমি বুঝতে পারি নি কাকে এটা জানাবো।

তারপরে রীতার সঙ্গে দেখা হয়েছিল! সে গত টার্মে আমার স্কুলে এসেছিল আর সে আমার ডেস্কের সঙ্গী হয়ে উঠেছিল। আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। সে আসলেই ভাল আর দারুন মেধাবী। আমি তাকে সব কিছুই বলি। এমন কি স্কুলে ছেলেদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হলেও।

আমরা যেহেতু একই বয়সের, তাই রীতা বলেছিল যে সে সব ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করতে পারবে না। সে বলেছিল আমার কথা বলার জন্য একজন বয়স্ক মানুষ প্রয়োজন। সে বলেছিল আমার চাচীর সঙ্গে কথা বলা উচিত। আমার চাচী ভ্রমণ করেন, তার মানে এই নয় যে আমরা কাছাকাছি আসতে পারি না। সে আমাকে বলেছিল পুরোপুরি হাল ছেড়ে দেওয়ার আগে, আমার একবার তার সঙ্গে চেষ্টা করা উচিত। আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু আমি গত সপ্তাহে আমার মাসিকের ব্যাপারে আমার চাচীকে বলেছিলাম। তিনি চমৎকার ছিলেন! আমার শরীরে যা ঘটছিল সেই ব্যাপারে তিনি আমাকে সব কিছু বলেছিলেন। এমন কিছু কথাও বলেছিলেন যা রীতাও জানত না!!

রীতা আমাকে দেখিয়েছিল যে আমার সমস্যাগুলো শেয়ার করার জন্য আমার ভয় পাওয়ার দরকার নেই। প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত আনন্দের সঙ্গেই সাহায্য করেন, আপনাকে শুধু অনুরোধ করতে হবে! এমন কি আমার চাচী দূরে থাকলেও, আমি এখন আমাদের স্কুলে গাইডেন্স কাউন্সেলারের সঙ্গে কথা বলতে পারি। আমি এমন মানুষ খুঁজে পেয়েছি যাদের আমি বিশ্বাস করতে পারি। এমন কি আমার চাচাতো দাদা মার্ককেও। আমি কখনও কখনও ছেলেদের ব্যাপারে পরামর্শের জন্য তার কাছে যাই আর সে এগুলোকে বোঝার পক্ষে খুবই সহজ করে তোলে।

আমি এখন জানি যে, কোনো ভুল হলে আমার চুপ করে থাকা উচিত নয়। আপনার কোনো সমস্যা থাকলে, এবং কারো সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে এই পরামর্শগুলো চেষ্টা করে দেখুন:

  1. আপনার বিশ্বস্ত একজন প্রাপ্তবয়স্ককে খুঁজে নিন, যেমন আপনার মা কিংবা কোনো শিক্ষক।
  2. প্রথমে কী বলবেন সেই বিষয়ে ভাবুন এবং শুরু করার আগে তা অনুশীলন করে নিন।
  3. কল্পনা করুন কথোপকথনটা ভালভাবে এগো‌চ্ছে, যা আপনাকে কম ভীত অনুভব করতে সাহায্য করবে!

প্রাপ্তবয়স্কদের অনেক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে তাই লজ্জা পাবেন না। তাদের কাছে উত্তর আছে!

Share your feedback