2019কে সর্বসময়ের জন্য সবচেয়ে ভালো করার গোপন সূত্র!

4টি পদক্ষেপ তোমার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে

আমার নতুন বছরের আরম্ভকে দারুন লাগে! প্রত্যেক জানুয়ারিতে,“সবকিছুই সম্ভব” এরকম একটা অনুভূতি হয় এবং এনার্জি আর ইচ্ছায় ভরপুর থাকি নতুন এবং উত্তেজক একটা কিছু করার জন্য! কিন্তু সততার সঙ্গে বলছি, আমি কেবল এরকম চিন্তার অভ্যাসটা গত বছর থেকে করছি যখন আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষক, মিঃ. মোজাম্বো, আমাদের শেখান বছরটিকে চিরদিনের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ করে তোলার সূত্র।

নতুন সেমিস্টারের প্রথম ক্লাসের সময় মিঃ. মোজাম্বো আমাদের বলেন লিখতে তিনটি বড় স্বপ্ন সেই বছরে যা আমরা পূরণ করার আশা রাখি। আমার ইচ্ছে, “আমি আমার মাকে একটা বড় বাড়ি করে দেবো, আমার একটা গাড়ি হবে আর সেটা আমিই চালাবো এবং মজা করতে আমি অন্য দেশে ভ্রমণ করবো-কিন্তু একবছরের মধ্যে এতগুলি ইচ্ছা তো পূর্ণ হবে না!”

আমি তাই মিঃ. মোজাম্বোর সাহায্য চাইলাম। তিনি বললেন এমনকিছু ভাবতে যাতে বড় স্বপ্নগুলি পূর্ণ করতে সহায়ক হয় আর তার জন্য প্রস্তুতি কার্যগুলি এখন থেকেই করা যায়। সুতরাং চিন্তা করলাম, “বিজ্ঞান আমার প্রিয় বিষয়, হতেই পারে একদিন আমি একজন বড় বিজ্ঞানী হলাম আর উপার্জন করে আমার স্বপ্নগুলি বাড়ি, গাড়ি, দেশভ্রমণ সবকিছুই সম্পন্ন করতে পারলাম” এখন আমি তাহলে যা করতে পারি তা হল বিজ্ঞান ক্লাবে যুক্ত হওয়া আর একনাগাড়ে চেষ্টা করে যাওয়ার আঞ্চলিক বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় জয়ী হবার।

আমার বন্ধু আমিনাতোউ আমার সঙ্গে সায়েন্স ক্লাবে জয়েন করে। স্কুলের পর আমরা সমস্যা সমাধান করতাম একসঙ্গে এবং সপ্তাহান্তে একে অপরের পরীক্ষা নিতাম। আমরা মাত্র দু’জন মেয়ে ছিলাম ক্লাবে আর ছেলেরা আমাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতো যেন আমরা ওদের মতো স্মার্ট নই। ঘটনাক্রমে, আমরাও দ্রুত প্রশ্নোত্তর দেওয়া শুরু করলাম ছেলেদের তুলনায় ফলে তারাও আমাদের মর্যাদা দিতে শুরু করল।

আমাদের ক্লাব যোগ্যতা পেল আঞ্চলিক বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এবং 10টি দলের মধ্যে আমরা তৃতীয় স্থান পেলাম। এই সাফল্য থেকে আমি শিক্ষা নিলাম যে কঠিন পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস থাকলে আমি সবকিছু করতে পারবো। এবছর-তাই কোন লক্ষ্যই বিশাল বড় নয় আমার কাছে, আমি নিশ্চিত আমরা জাতীয় প্রতিযোগিতা পর্যন্ত এইভাবে তৈরি হয়ে সাফল্যলাভ করবো।

Share your feedback