সুখী হওয়ার চ্যালেঞ্জ

আনন্দ খুঁজে পাওয়া আমাকে দুশ্চিন্তা করা থামাতে সাহায্য করেছিল

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করার জন্য যদি কোনো পুরস্কার থাকত, তাহলে আমিই সম্ভবত জিততাম! স্প্রিংস্টাররা, আমি খুবই বেশি দুশ্চিন্তা করি... আমার নিজের বিষয়ে থেকে শুরু করে আমার ভাইবোন ও পরীক্ষা, আমার ব‌ন্ধু, আমার শরীর, আমার ভবিষ্যৎ পর্যন্ত, তালিকাটি অসীম। আমি সবসময়ই আশা করি যে, কোনো একটা ভুল হয়ে যেতে পারে, আর সেই কারণে ভুল হয়!

গত সপ্তাহে আমার প্রিয় ব‌ন্ধু সেলিমা বলেছিল যে সে আমার দুশ্চিন্তাগুলো অনেক সহ্য করেছে। এটা আমাকে কোথাও পৌঁছে দি‌চ্ছিল না আর সে সঠিক ছিল। আমি সবসময় উদ্বিগ্ন, চাপগ্রস্ত আর বিভ্রান্ত অনুভব করতাম। ভাল নয়!

সেলিমা আমাকে সুখী হওয়ার চ্যালেঞ্জ নামের একটা বিষয় চেষ্টা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছিল। সে আমাকে বলেছিল যে সুখ আকাশ থেকে পড়া কোনো জিনিস নয়। আপনাকে সক্রিয়ভাবে তা খুঁজতে হয় এবং এটি পাওয়ার জন্য সি‌দ্ধান্ত নিতে হয়। সেলিমা আরও বলেছিল যে সুখের পরিযাত্রায় 3টি ধাপ আছে। সে আমাকে এই বিষয়ে এগুলো শিখিয়েছিল:

ধাপ 1

আমি জীবনে কী ভালবাসি তা উপল‌ব্ধি করতে আমাকে সাহায্য করার জন্য সেলিমা শুরুতে আমাকে কিছু প্রশ্ন করেছিল। সে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল:

* তু্মি কোন ব্যাপারে স্বপ্ন দেখো?
* কোনটা তোমাকে উদ্দীপ্ত করে আর শক্তি দেয়?
* তুমি কোন বিষয়ে আবেগপ্রবণ?

এই প্রশ্নগুলো আমাকে আসলেই চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য করেছিল আর নিজেকে জানতে সাহায্য করেছিল। আমি জীবনে যেগুলো পছন্দ করি এমন অনেকগুলো জিনিসের একটা লম্বা তালিকা লিখতে সক্ষম হয়েছিলাম।

ধাপ 2

আপনি একবার আপনার সুখের তালিকাটি পেয়ে যাওয়ার পরে, লিখে ফেলুন যে আপনি এই কাজগুলো করে কতটা সময় কাটান।

আমারটা এই রকম দেখিয়েছিল:

ব‌ন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো - মাসে মাত্র 2 বার, কারণ আমি খুব বেশি দুশ্চিন্তা করায় কেউই আমার সঙ্গে সময় কাটাতে চাইত না।

সুন্দর ছবি তোলা - কখনই না, কারণ আমি ভেবেছিলাম আমি ফটোগ্রাফার হওয়ার জন্য যথেষ্ট ভাল ছিলাম না।

সুস্বাদু কেক বেক করতে শেখা - মাঝেমধ্যে, কারণ আমি অলস ছিলাম আর এটাকে পিছিয়ে দিতাম।

বাহ! আমি উপল‌ব্ধি করতে শুরু করেছিলাম যে আমি যা করতে ভালবাসি সেগুলোর জন্য খুবই কম সময় দিতাম আর দুশ্চিন্তা করে অনেক সময় কাটাতাম! অবাক হওয়ার কিছু নেই যে আমি এত বেশি সময় ধরে উদ্বিগ্ন অনুভব করেছিলাম।

ধাপ 3

সেলিমা আমাকে বলেছিল যে সুখের চাবিকাঠি হল আপনি কী করতে ভালবাসেন তা জানা আর সেটা করা! এরপরে আমরা বছরের 12 মাস নিয়েছিলাম আর প্রত্যেক মাসের জন্য একটা পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছিলাম। আমি প্রত্যেক মাসে আমার তালিকায় থাকা কোনো কাজের ওপরে মনোযোগ দেবো যা আমাকে আনন্দিত করে তোলে।

তাই আমি জানুয়ারিতে একটা বয়াম নিয়েছিলাম আর একটা ক্যামেরার জন্য সঞ্চয় করা শুরু করেছিলাম। ফেব্রুয়ারিতে আমি কিছু চমৎকার রান্না শেখার জন্য আমার মা-বাবার সঙ্গে রান্নাঘরে আরো বেশি সময় কাটিয়েছিলাম। আর প্রতি সপ্তাহের শেষেই আমি আমার ব‌ন্ধুদের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটাতে আর ইতিবাচক থাকতে চেষ্টা করেছিলাম।

আমার প্রিয় ব‌ন্ধু সেলিমা আমাকে শিখিয়েছিল কীভাবে সুখী হতে হয়, আর তাই আমি দুশ্চিন্তাকে বিদায় জানাতে পেরেছিলাম, এর জন্য আমি তার প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।

Share your feedback