কথা বলার 5টি ধাপ

এটা একেবারে সহজ

তোমার কথা কেউ শুনছিল না বলে তুমি অনুভব করেছ এমন কোনো সময় মনে পড়ে কি?

হয়তো তোমার বন্ধু কলেজের পর তোমার পরিকল্পনায় সায় দেয়নি, অথবা তোমার মা-বাবা ভাবেন যে স্টোর ম্যানেজারের পরিবর্তে তোমার ডাক্তার হওয়া উচিত। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং এতে তুমি হতাশা এবং অবিচার অনুভব করতে পারো। ঠিক?

কথা বলা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এবং নিশ্চিত হও যে তোমাকে শোনা হচ্ছে। কিন্তু তুমি হয়তো নিশ্চিত নও যে এটা কীভাবে করা যায়।

তোমার সাহায্যের জন্য এখানে 5টি পরামর্শ দেওয়া হল!

  1. নিজের অনুভবে আস্থা রাখো - যদি কেউ কিছু বলে অথবা করে যা সঠিক মনে হচ্ছে না, তাহলে সম্ভবত সেটা ঠিক নয়। তুমি যখন এটা দেখছ আস্থা রাখো যে তুমি যেকোনো ধরণের অবিচার সম্পর্কে জানো।
  2. আত্মবিশ্বাসী কিন্তু শ্রদ্ধাশীল হও - যখন নিজের জন্য কথা বলবে, খুব শান্তভাবে এবং পরিষ্কার স্বরে কথা বলো। যদি তোমার হতাশ লাগে তাহলে কয়েক মিনিট হাঁটো। এটা তোমাকে শান্ত থাকতে এবং কী বলবে সে ব্যাপারে ভাবতে সাহায্য করবে।
  3. অন্য ব্যক্তির কথা শুনতে ভুলো না - অন্য ব্যক্তির হয়তো পৃথক মতামত থাকতে পারে, কিন্তু তাঁরও সর্বদা অধিকার আছে যে তাঁর কথা শোনা হবে। এভাবে তুমি বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্নভাবে বুঝতে পারবে যে তাঁরা কীভাবে বিষয়টাকে দেখছেন। কখনো কলেজে যাব কি না বা ভালো কিছুর সঙ্গে কাজ করব কি না এ নিয়ে অরাজি হওয়াটা খারাপ নয়, এবং এটা ঠিক আছে।
  4. নিশ্চিত করো যে তুমি কথাবার্তা তোমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলছ - তোমার বাক্যের শুরুতে ব্যবহার করো ‘আমি’। ‘আপনার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে? আমার কথায় বিঘ্ন ঘটাবেন না’ বলার চেয়ে ‘আমি মনে করি যখন আমি কথা বলব আমায় বিঘ্ন না ঘটানোই ভালো’ বলা ভালো। মনে রাখবে, মানুষ যখন মনে করে যে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে না তখন ভালোভাবে সাড়া দেয়।
  5. তুমি কী ধরনের পরিবর্তন দেখতে চাও সে নিয়ে কথা বলো - সেগুলো শান্তভাবে ব্যাখ্যা করো। উদাহরণস্বরূপ, হয়তো তুমি চাও তোমার কলেজের ব্যাপারে তোমার পছন্দ মা-বাবা বিবেচনা করুন। এটা তাঁদের কাছে সততার সঙ্গে ও সম্মানজনকভাবে ব্যাখ্যা করো।

Share your feedback