শ্রেণীকক্ষের শিরোমণি

কীভাবে আরো ভালো শিক্ষার্থী হয়ে ওঠা যায় সেটা শিখে নাও।

আমাদেরকে বিদ্যালয়ে ভাল ফল করতে হবে, তাই তো? অবশ্যই! কখনও কখনও পড়াশোনা কঠিন মনে হয়, কিন্তু এখানে কিছু পরামর্শ রয়েছে যেগুলো সোজা আর মজারও, যার সাহায্যে তুমি ক্লাসে সবার থেকে ভাল ফল করতে পার!

তোমার জীবনটা রঙিন করে তোল
নোট নেওয়ার এই পদ্ধতিটা চেষ্টা করে দেখ। বিদ্যালয় চলাকালীন, তুমি তোমার শিক্ষক­শিক্ষিকার কথা মন দিয়ে শুনতে পার এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তোমার খাতায় লিখে নিতে পার। কিন্তু বাড়ি পৌঁছে, তোমার নোটগুলো আবার দেখ এবং তুমি যা পার আবার লেখ, এটা তোমাকে তুমি যা লিখছ সেটা মনে রাখতে সাহায্য করবে। তুমি তোমার নোটে সুন্দর করে ছবি এঁকে সেগুলোকে চমতকার করে তুলতে পার, স্টিকার ব্যবহার করে বা তোমার কলমের কালির রং পাল্টে তোমার নোটগুলোকে আরো উজ্জ্বল করে তুলতে পার। যখন তুমি তোমার জন্য ঠিক পদ্ধতিটা খুঁজে পাবে, তখন তুমি লেখাপড়ায় আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে!

বিরতির সময়
নিজেকে একটু সতেজ করে নেওয়ার জন্য এক ঘন্টা পড়াশোনা করার পর তোমার মাথাটাকে একটু বিরতি দাও। বাইরে বেরিয়ে যাও, একটু হেঁটে এস। এটা তোমাকে অনুপ্রেরণা দেবে এবং মনোযোগী করবে।

ফোন থেকে দুরে থাক
তুমি তোমার মাথাকে একটু বিরতি দিচ্ছ, তারমানে এটা নয় যে তুমি তখন ফোনে চ্যাট করতে পার বা গেম খেলতে পার। এখনই নয়। তোমার ফোন এবং অন্যান্য গেজেটগুলোকে তোমার থেকে অনেক দূরে রাখ। তোমার বিএফএফ-কে সঙ্গে-সঙ্গে উত্তর না দিলে পৃথিবীটা ভেঙে পড়বে না আর তুমি একটা খারাপ বন্ধুও হয়ে যাবে না।

নিজেকে প্রশ্ন কর
তোমার কোন ভাইবোন, তোমার বাবা-মা, অথবা তোমার কোন বন্ধুকে বল তোমাকে প্রশ্ন করতে (যেটা খুব ভাল, কারণ তুমি একইসাথে পড়াশোনা করছ এবং একটা বন্ধন তৈরি করছ!)। তুমি যে সত্যিই পড়েছ সেটা সবথেকে ভাল প্রমাণ হবে যদি তারা তোমাকে যে প্রশ্নগুলো করবে সেই সব প্রশ্নগুলোর উত্তর তুমি মনে করতে পার।

নিজেকে একটা পুরস্কার দাও
অবশ্যই, যদি তুমি ক্যুইজে বেশ ভাল স্কোর করতে পার, তাহলে তুমি নিজেকে পুরস্কার দিতেই পার। কারণ তুমি একটা অনেক ভাল কাজ করেছ! অল্প কয়েক মিনিট বেশি ফেসবুক চেক করা বা মলে যাওয়া, যাই হোক না কেন, সেটা তুমি তোমার ভাল নম্বরের পুরস্কার হিসাবে করতেই পার! তুমি যা করতে পেরেছ তারজন্য অবশ্যই তোমার গর্ববোধ করা উচিত!

Share your feedback