কথোপকথন চলতে দাও
এমন কি কখনও আপনার হয়েছে যে, আপনি কারও সঙ্গে কথা বলা শুরু করলেন, কিন্তু মাত্র 5 মিনিটই কথা বলতে পারলেন, কেননা আপনি এরপর আর বুঝতে পারছিলেন না যে আর কী কথা বলা যায়? উফ্! আমারা সবাই-ই এরকম পরিস্থিতিতে পড়েছি। বিশেষ করে এই সমস্যা হয় যখন আমরা মা-বাবা, অভিভাবক বা প্রশিক্ষকের মত বয়ঃজ্যেষ্ঠ লোকেদের সঙ্গে কথা বলি।
আপনি যখন এ নিয়ে ভাববেন, তখন এই রকম অপ্রতিভ পরিস্থিতি নিয়ে লজ্জা পাওয়ার বা চিন্তা করার আসলে কোনও কারণই নেই। আপনি কী প্রশ্ন করছেন, তা নিয়ে আপনাকে সৃষ্টিশীল হতে হবে। সেটুকু করলেই হয়ে যাবে। যেমন ধরুন, প্রশিক্ষককে কী প্রশ্ন করবেন তা না-জানা মানেই এই নয় যে কারও সঙ্গে দেখাই করবেন না বা কথা বলবেন না। লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমা্দের সবারই প্রথম প্রথম একটু ভয়-ভয় করে, কিন্তু এরকম ভয় পেলে আপনি কিন্তু একজন সফল নারী হয়ে উঠতে পারবেন না, যা আপনি ভবিষ্যতে হতে চান।
যাঁরা যে বিষয় বা ক্ষেত্র নিয়ে আগ্রহী কিন্তু সেই বিষয় বা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা কম, তাঁদের সেই দিকটিতে যেসব অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা পথ দেখান, তারাই প্রশিক্ষক। তাঁরা বেশির ভাগ সময়েই আপনাকে এমন সব পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেবেন যাতে আপনার চোখ-কান খুলে যায় যার ফলে যে কোনও বিষয়কেই যাতে আপনি সম্পূর্ণ আালাদা একটা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করতে পারেন। তাঁরা আপনাকে যা-ই শেখাবেন, সেগুলোকে প্রতিদিনকার জীবনে আপনি প্রয়োগ করতে পারলে তাঁরা আপনার জীবনে এক বিরাট বদল এনে দিতে পারবেন। লোকে বলে, “সফলতা ইঙ্গিতবাহী।” প্রশিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলা মানে কিন্তু ঠিক তা-ই! তাই ঠিকঠাক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। তাঁরা যেসব ইঙ্গিত বা সংকেত দিয়ে যাবেন, সেগুলো মন দিয়ে শুনুন। সেগুলোকে নিজের জীবনে প্রয়োগ করুন এবং এইভাবে ক্রমশ নিজেকে উন্নত করে তুলুন! এসব মেনে চললে খুব খারাপ কিছু হবে না নিশ্চয়ই, তাই না?
নিজের প্রশিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কখনও যদি কোনও সমস্যায় পড়ে থাকেন, তাহলে নীচে কয়েকটা ভাল ভাল প্রশ্ন দেওয়া হল। এসব অন্ধকারের মধ্যে আলোর মত জ্বলে উঠবে আর কথাবার্তা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সহায়ক হবে।
Share your feedback