কৈশোরের স্ট্রেচ মার্ক

খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক ব্যাপার।

বেশির ভাগ মেয়ে ও ছেলের বয়ঃসন্ধিকালের একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হল স্ট্রেচ মার্ক। যখন খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠো বা তাড়াতাড়ি তোমাদের ওজন বাড়তে থাকে (যেমন বয়ঃসন্ধি কালে), তখন তোমাদের শরীররে সূক্ষ্ম কিছু রেখা দেখা দিতে পারে। সেগুলোই হল স্ট্রেচ মার্ক।

যদি তোমার নিজের শরীরে স্ট্রেচ মার্কগুলো লক্ষ্য করে থাকো, তাহলে জেনে রাখো যে এ ব্যাপারে তুমিই একা ও একমাত্র নও। বেশীরভাগ মহিলাদেরই এমন হয়। সাধারণত তাদের বুকে, উরুতে, কোমরে ও নিতম্বে এরকম রেখা দেখতে পাওয়া যায়। বহু মহিলার আবার গর্ভবতী থাকার সময় এমন হয়।

বহু লোক এই স্ট্রেচ মার্ককে অনেক বড়সড় সমস্যা ভেবে বসেন, আসলে তেমন কিছুই নয়। বাড়ন্ত বয়সে এসব খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার আর বহু লোকের ক্ষেত্রেই এটা খুবই সাধারণ। একটা কথা মনে রাখবে, নিখুঁত শরীর বলে কিছু হয় না আর দু’জন মানুষের শরীর কখনও এক হয় না।

আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ভেতর থেকে, তাই বাইরে কী হচ্ছে না-হচ্ছে সেসব নিয়ে চিন্তা করে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। বাড়ন্ত বয়সে তোমাদের শরীরে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়, সেই অনুযায়ী তোমাদের শরীরও নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে থাকে। একবার ভাবো তো কেমন লাগবে, 30 বছর বয়সে 10 বছরের বাচ্চার মত শরীর? বিতিকিচ্ছিরি!

বয়ঃসন্ধি কাল হল একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। আমাদের প্রত্যেককেই কিছু না-কিছুর সঙ্গে লড়াই করে যেতে হয়, তাই নিজের শরীরের এই স্ট্রেচ মার্কগুলোকে এই হিসাবে দেখো যে, তুমি যেসব যুদ্ধে জয়ী হয়ে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছ, সেইসবেরই বিজয়চিহ্ন ওই দাগগুলো।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই স্ট্রেচ মার্কগুলো নিজে নিজেই মিলিয়ে যাবে, তবুও বয়ঃসন্ধি কাল পার করতে করতে এইসব দাগ দূর করার জন্য দুয়েকটা জিনিস করতে পারো।

  1. কোকোয়া আর শিয়া বাটারের মত প্রাকৃতিক বডি ক্রিম ব্যবহার করো। এসবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। এগুলো তোমার শরীরকে অনেক বেশি করে নমনীয় করবে আর শারীরিক বৃদ্ধির ফলে শরীরে যে চাপ সৃষ্টি হয়, সেটাকেও কমাবে।
  2. প্রচুর জল খাও, তাহলে শরীরে টান আসবে না। এ ভাবে তোমার ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক পড়ার সম্ভাবনা কমবে।
  3. রোজ শরীরচর্চা করো আর স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাও। এইভাবে তুমি নিজের ওজনবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। রোজ স্ট্রেচিং করলে তোমার ত্বক আরও বেশি টোনড হবে আর স্ট্রেচ মার্কও কম দেখা যাবে।

মনে রেখো, বাইরের চেহারা যাতে তোমার মনের অনুভূতির ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে না-পারে, সেই চেষ্টা কোরো। তোমাকে দেখতে কেমন, সেটার চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ তোমাকে করতে হবে, তাই সেই কাজগুলো করার ওপর মন দাও।

Share your feedback