সৌন্দর্যের আলাদা করে কোনো রঙ হয় না

তুমি ভিতর থেকে কতটা সুন্দর সেটাই বড় কথা

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি: আমাদের গায়ের রঙ ফর্সা নয় এবং শুধুমাত্র ফর্সা রঙের মেয়েরাই নাকি 'সুন্দর'। বিজ্ঞাপনদাতারা আমাদের বিশ্বাস করিয়ে ছাড়বে যে গায়ের রঙ ফর্সা না হলে নাকি তা ভালো নয় এবং আমাদের গায়ের রঙ ফর্সা করে তুলতে তাদের কাছে বিভিন্ন প্রোডাক্টও নাকি আছে।

গায়ের রঙ ফর্সা হোক বা না হোক তাতে কিন্তু আসতে কিছু যায় আসে না। লুপিতা নিয়ং, সাশা, মালিয়া ওবামা বা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কী দেখতে সুন্দর নন? তারা শুধু দেখতে সুন্দরই নন তারা সফলও বটে। আর তাদের এই সুন্দরতার পিছনে রয়েছে তাদের আত্মবিশ্বাস, নিজেদের প্রতি ভরসা এবং মূল্যবোধ।

ফর্সা গায়ের রঙ, লম্বা ঢেউ খেলা চুল বা পাতলা শরীরই কিন্তু সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নয়। আমরা এমন অনেককেই দেখতে পাই যারা তাদের নিজস্ব শারীরিক গঠন, রঙে বর্ণে এবং গন্ধে স্বতন্ত্র ও সুন্দর। তাদের আত্মবিশ্বাসই তাদের সুন্দর করে তোলে।

আমাদের মধ্যে এমন বিশ্বাস গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয় যে আমাদের গায়ের রঙ নাকি ভালো নয়। কিন্তু বাজারে আমাদের ফর্সা করে তোলার যেসব প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয় সেইগুলি ব্যবহার করা কিন্তু নিরাপদ নয়!

রঙ ফর্সা করে তোলার প্রোডাক্টে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক তৈরি করা হয়। যেমন - স্টেরয়েড, হাইড্রোক্যুইনন এবং মার্কারি। এই সব রাসায়নিক থেকে আমাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। মার্কারি থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। ভাবতে পারছ কী সাংঘাতিক ব্যাপার!

গায়ের রঙ ফর্সা করে তোলার কিছু প্রোডাক্টে আমাদের নজর কাড়তে "ভেষজ", "প্রাকৃতিক" এইসব শব্দ ব্যবহার করা হয়। প্রোডাক্টে ভেষজ বা প্রাকৃতিক শব্দ লেখা থাকলেই যে তা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে না এমন কোনো কথা নেই। এমন অনেক বিপজ্জনক রাসায়নিক রয়েছে যা কিন্তু আসলে প্রকৃতিতেই পাওয়া যায়। অনেক বিষকেই প্রাকৃতিক বলা যেতে পারে কিন্তু সেইসব বিষকে আমরা আমাদের মুখে লাগাতে চাই না!

তোমার গায়ের রঙ যেমনই হোক না কেন তুমি তাতেই সুন্দর। তোমার আত্মবিশ্বাস এবং হাসিখুশি ভাবই হল তোমার সবথেকে বড় পরিচয়। তুমি ভিতর থেকে সুন্দর!

Share your feedback