ব্রণ ফুসকুড়ি হলে কীভাবে তা সামলাবে দেখ
আজ আমি বাইরে বের হব না। আমার মুখের অবস্থা যাচ্ছেতাই হয়ে গেছে। আমাকে বাজে দেখাচ্ছে।
না। তোমায় কিন্তু একেবারেই বিচ্ছিরি দেখাচ্ছে না। সত্যি বলছি।
আমাদের গালে ব্রণ হওয়া কোনো নতুন জিনিস নয়। তবে ব্রণর প্রতি সবসময় মন দিয়ে বসে থাকতে যেও না। আমাদের সবারই কম বয়সে গালে ব্রণ হয়। সত্যিই আমাদের কেউই বাদ যাইনা। আর এই ব্রণর সমস্যা কিন্তু নিজে থেকেই একদিন মিটে যাবে। তুমি যত বেশি ব্রণ নিয়ে চিন্তায় পড়বে তত বেশি করে তা তোমার উপরে চেপে বসবে। তোমার মেজাজ, হরমোন ইত্যাদি থেকে শুরু করে তুমি কেমন ভাবে থাকো তা সবকিছুই কিন্তু তোমার স্কিনে কোনো না কোনো ভাবে ছাপ রাখে।
তাই সবার প্রথমে তোমাকে ব্রণ নিয়ে অকারণে চিন্তা করা বন্ধ করতে হবে। অকারণে চিন্তা করে কোনো লাভ হবে না।
ব্রণ হবেই আর সেটা তোমাকে মেনে নিতে হবে। তবে ব্রণ মেটাতে আমাদের কিন্তু অনেক কিছুই করার থাকতে পারে। হ্যাঁ সত্যিই বলছি, হাতে গোনা কিছু বিষয় মাথায় রাখলেই কিন্তু খুব ভালো ফল পাবে।
তোমার মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নাও
গরমের দিনে আমরা সবসময় ঘামতে থাকি। তাতে গাল তেলতেলে হয়ে যেতে পারে। আর গাল তেলতেলে থাকলে গালে ব্রণ হওয়ার সমস্যা আরো জটিল হয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব? বাইরে থেকে বাড়িতে আসার পরে প্রতিবার নিজের মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নাও। আর কিছু করার আগে সবার প্রথমে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নাও। মুখ ধুয়ে নেওয়ার কথা ভুললে চলবে না। তুমি যদি নিজের ত্বককে পরিষ্কার রাখতে পাও তাহলে দারুণ ফল পাবে। মুখ দিনের দুইবার করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নাও। তবে খুব বেশি বাড়াবাড়ি করতে যেও না যেন তাতে খারাপ ফলই পাবে।
স্কিনে ময়েশ্চারাইজার লাগাও।
মুখ শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নাও। হালকা করে মুছে নাও। ঘষতে যাবে না কিন্তু। তারপরে ময়েশ্চারাইজার লাগাও। বাড়ির কাছের কোনো দোকানেই তুমি কিনতে পেয়ে যাবে। নন-কেমিক্যাল ময়েশ্চারাইজারই লাগাও।
মুখ এবং ময়েশ্চারাইজার ধুয়ে নাও। আর কিছু করার দরকার নেই। এই দুইটি বিষয় মাথায় রেখে নিয়মিত ভাবে করলেই ভালো ফল পাবে।
এখন...
তুমি তোমার স্কিন সেরে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছ, কিন্তু কোনো না কোনো কারণে তোমাকে তো বাইরে বের হতে হবেই। তাই না? তবে তুমি জানো বাইরে বের হলেই অন্যেরা তোমার দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞাসা করবে, "তোমার স্কিনে কী হয়েছে?" বা ধরো "তুমি ভালো আছো তো?" অথবা
তোমার মুখ ব্রণতে ভরে গেছে ইত্যাদি আমরা জানি আমাদের কারোরই এইসব কথা শুনতে ভালো লাগবে না। ব্রণ যতটা না বিরক্তিকর তা থেকে এইসব প্রশ্ন যেন আরো বেশি বিরক্তিকর। কিন্তু তুমি জানো কি? আমরা সবাই এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হই।
Share your feedback