প্রকৃত সত্য
মেয়েরা কীভাবে গর্ভবতী হয় আর কী কী ব্যবস্থা নিলে গর্ভবতী হওয়া যায় না এ ব্যাপারে তোমরা অনেক কথাই হয়তো শুনেছ…
সত্যি কথা বলতে কি, গর্ভবতী না-হওয়ার একমাত্র সুনিশ্চিত উপায় হল যৌন সম্পর্কে লিপ্ত না-হওয়া। যৌন সম্পর্কে লিপ্ত না-হলে যৌন সংক্রামিত ব্যাধির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও রোধ করা যায়।
একটি লোকের (বা ছেলের) শুক্রাণু এসে একটি মহিলার (বা মেয়ের) ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হলেই বাচ্চার জন্ম হয়। পুরুষ ও নারীর সঙ্গম হলে পুরুষের শরীর থেকে শুক্রাণু বেরিয়ে গিয়ে নারীর শরীরে প্রবেশ করে। বেশির ভাগ মহিলা ও মেয়ের শরীরে বিশেষ একটি স্থান থাকে যাকে বলে জরায়ু। শুক্রাণু সাঁতরে সেখানে গিয়ে পড়ে। সেখানে ডিম্বাণু থাকলে পরেই বাচ্চার জন্ম হতে পারে।
গর্ভবতী হওয়ার মূল কথাগুলো তোমরা জানলে। এবার শোনো গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত কয়েকটা মিথ্যে কথা, যেগুলো শুনলে তোমাদের বিশ্বাসই হবে না।
“1. প্রথমবার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে কোনও মেয়ে গর্ভবতী হতে পারে না।”
মেয়েদের মাসিক শুরু হয়ে যাওয়ার পরেই তারা গর্ভবতী হতে পারে। যৌন সম্পর্ক প্রথমবারই হোক পঞ্চমবারই হোক সেটা কোনও ব্যাপার নয়
“2. মাসিক চলাকালীন কোনও মেয়ে গর্ভবতী হতে পারে না।”
মেয়েদের শরীরে শুক্রাণু পাঁচদিন পর্যন্ত থাকতে পারে। মাসিকের প্রায় শেষের দিকে কোনও মেয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে সে গর্ভবতী হয়ে যেতে পারে।
“3. সঙ্গমের পরে-পরেই কোনও মেয়ে যদি সব ধুয়ে নেয়, তাহলে সে আর গর্ভবতী হবে না।”
শুক্রাণু সোজা মেয়েদের শরীরের ভেতরে ঢুকে যায়। যতই ধোয়াধুয়ি করা হোক না-কেন শুক্রাণুকে আর বাইরে বের করে আনা যায় না।
“4. সঙ্গমের পরে-পরে কোনও মেয়ে যদি লাফালাফি করে, তাহলে সে আর গর্ভবতী হয় না।”
মেয়ের শরীরে একবার যদি শুক্রাণু ঢুকে যায়, তাহলে লাফালাফি করলেও সেই শুক্রাণু আর বাইরে বেরিয়ে আসে না।
“5. গর্ভবতী হওয়ার বয়স এখনও তোমার হয়নি।”
একবার কোনও মেয়ের মাসিক শুরু হয়ে গেলেই সে গর্ভবতী হতে পারে। সে তার বয়স যতই হোক না-কেন।
যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হবে কি হবে না, সে-ব্যাপারে সাবধানে চিন্তাভাবনা করতে হবে। কারও চাপে পড়ে বা হুট করে এসব করলে পরে অনুতাপ করতে হতে পারে।
Share your feedback