3 টি সত্য যা প্রতিটি মেয়ের জানা দরকার...

‘স্বাভাবিক’ পিরিয়ড বলে কিছু হয় না!

তোমার মেজাজ বদল সামলানো থেকে সঠিক পিরিয়ড প্রডাক্ট পছন্দ করা - পিরিয়ড শুরু হতে পারে একটু অস্বস্তিকর অনুভূতিতে! কিন্তু এগুলি এরকম নয়। এখানে তোমার পিরিয়ড সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য দেওয়া হল যা তোমাকে এটা সামলাতে সাহায্য করবে :

1. তোমার শরীরে কী চলছে জানো।

তোমার চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে কী প্রত্যাশা করা উচিত সে বিষয়ে যত বেশি জানবে ততই এটা সামলানো সহজ হবে। তোমার পিরিয়ডের প্রথম দশায় তোমার হরমোনগুলি তোমার জরায়ুতে ডিম্বাণু তৈরি করে। পরের দশায় তোমার জরায়ু এসব ডিম্বাণুকে নির্গত করে। এদিকে, তোমার হরমোনগুলো তোমার গর্ভাশয়ের আস্তরণ গঠনে সাহায্য করে, যাতে যদি তোমার ডিম্বাণুগুলি নিষিক্ত হয় (পুরুষ বীর্য দ্বারা), এটা গর্ভাবস্থার জন্য প্রস্তুত। যদি ডিম্বাণুগুলি নিষিক্ত না হয়, এসব আস্তরণ যোনিদ্বার দিয়ে তরল আকারে নির্গত হয় যাতে রক্ত থাকে (তোমার পিরিয়ড)। মাত্র এটাই - এতে ভয় পাওয়া বা শঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই, মাত্র তোমার দুর্দান্ত শরীর দুর্দান্ত কাজকর্ম করতে ব্যস্ত!

2. রক্তপাত - স্বাভাবিক কী?

যদিও এমন লাগতে পারে যে তোমার অন্তর্বাসে নোংরা লেগে আছে, প্রকৃতপক্ষে তোমার এত রক্তপাত হচ্ছে না যতটা মনে হচ্ছে। তোমার গোটা পিরিয়ডে রক্তপাতের গড় পরিমাণ ২-৪ টেবিল- চামচ। বাকিটা মিউকাস ও টিস্যু। যদি তুমি কখনো বেশি রক্তপাত হচ্ছে বলে উদ্বিগ্ন হও, তাহলে তোমার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলো।

তোমার পিরিয়ডের প্রথম কয়েক বছর চক্রটা একটু অনিয়মিত হয়। কোনো মাসে তুমি বেশি রক্তপাত দেখো আবার কোনো মাসে এটা অনেক হালকা হয়ে যাবে।

3. মেজাজ বদল তৈরি থাকে না।

তোমার পিরিয়ডের ঠিক আগে অতিরিক্ত দুর্বল, মোটা অথবা বদমেজাজ অনুভব করো? প্রাক্-মাসিক পর্বে তোমার আবেগজাত ও শারীরিক পরিবর্তনের নাম হল পিএমএম (প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম)। তোমার মস্তিষ্কের হরমোন এবং অন্যান্য রাসায়নিক পরিবর্তন এগুলিকে এগিয়ে দেয়, সুতরাং এই সময়ে নিজের প্রতি অতিরিক্ত দয়ালু হও।

অধিকাংশেরই নিজস্ব পিরিয়ড যাত্রা থাকে। কোনো দুটো পিরিয়ড সমান হয় না এবং তোমার শরীর ও মনের স্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিচর্যার জন্য যেটা সবচেয়ে আরামপ্রদ সেটাই তোমাকে করতে হবে। তোমার শরীর যখন চমৎকার কাজে ব্যস্ত থাকে তখন তোমার নিজের প্রতি যত্ন নাও!

Share your feedback