তারা সত্যিকারে কী ভাবে তা জানতে চাওয়া?!
আমার নাম আবিনা। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমায় শহরে চলে যেতে হয়েছিল আমার বাবার নতুন চাকরি পাওয়ার সূত্রে। আমার মনে আছে প্রথমে আমার নতুন স্কুল শুরু হওয়ার বিষয়ে খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম, কিন্তু প্রথমদিনেই স্কুলে আমার সঙ্গে সবাই ভালো ব্যবহার করে এবং আমার অনেক বন্ধু লাভ হয়।
স্কুলের প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে কোফি আমার সবচেয়ে প্রিয়। সমস্ত স্কুলেও কোফি সবার প্রিয় এবং সবার সঙ্গে হাস্যমধুর সম্পর্ক। কোফি লাঞ্চের সময় ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলায় ব্যস্ত থাকত, কিন্তু বাড়ি ফিরত আমার সঙ্গে, সারাদিন গল্প করত ও খেলত আমার সঙ্গে। এরকম বন্ধু পাওয়া দারুণ এক ব্যাপার। হোমওয়ার্ক করতে কোফি আমায় সাহায্য করত, মন খারাপ থাকলে আনন্দে ভরিয়ে দিত, সর্বোপরি খুব খিদে পেলে ওর নিজের লাঞ্চ থেকে আমাকে ভাগ দিত।
স্কুলে একদিন আমাকে এসে কোফি বলল, আমার সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত কথা আছে, ওকে খুব উদ্বিগ্ন লাগছিল। কোফির মুখ দেখার পর থেকেই আমার মন উদ্বিগ্ন হয়ে যায় - কোফি সবসময় হাসিমুখে থাকে সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলে আর তাই ওর চিন্তান্বিত মুখ আমায় গভীরচিন্তায় ফেলল। জানতে চাইলাম কী হয়েছে, তখন আমাকে সে বলল, হলঘর দিয়ে চলার সময় সে দেখেছে মেঝেতে নতুন একটি মেয়ে, ওয়াইভন্নিকে একা বসে থাকতে। কোফির মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছে হচ্ছিল, মেয়েটিকে ওর একাকী মনে হয়েছিল, কিন্তু নিজে যেচে কথা বলতে কোফি নার্ভাস বোধ করে। আমি ওকে বললাম মেয়েটিকে মজার জোক শুনিয়ে হাসাবার চেষ্টা করতে এবং জিজ্ঞেস করতে প্রথম দিন নতুন স্কুল কেমন লাগছে। আমি আরো বললাম, ওর নার্ভাস হওয়া ঠিক না, আমার এত প্রিয় বন্ধু সে সুতরাং ওয়াইভন্নিরও ভালো বন্ধু হয়ে উঠবে।
আর ঠিক সেসময় আমার কথা শোনার পর কোফি বলল স্কুলের অধিকাংশ ছেলেরা মেয়েদের সঙ্গে বন্ধু পাতাতে চায় কারণ ওদের চোখে মেয়েরা স্মার্ট এবং মজার। আমি প্রকৃতই অবাক হয়ে গেছিলাম জেনে যে ছেলেরা আসলে কী ভাবে আমাদেরকে-আমার ধারণা ছিল ছেলেরা কেবল ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়, আজ জানতে পারলাম তারাও আমাদের প্রতি মুগ্ধ!
ভাবতে বেশ আনন্দের বিষয়টা যে ছেলেদের আর মেয়েদের মধ্যে ভাবনার বিশেষ পার্থক্য নেই।
Share your feedback