একটি দুর্ঘটনার মাধ্যমে একটি ছেলে কীভাবে সাহায্য করেছিল আমায়
সবাই এখানে তো শুনছো! আমার নাম তানিয়া আর আমার বয়স 16 বছর, কিন্তু আমার প্রতিবেশীরা আমায় জানে “মেয়েটা ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলে”। হ্যাঁ, আমার স্কুলের ফুটবল দলের সব ছেলেদের মধ্যে আমি একা মেয়ে। অনেকেই আমায় জিজ্ঞেস করে আমি কী ছেলেদের সঙ্গে খেলার প্রতিযোগিতায় থাকতে ভালোবাসি কিনা আর সর্বদা আমার উত্তর হল: “ভালো কথা, মেয়েরা অনেক কিছু করতে পারে যা ছেলেরা করে থাকে যদি তারা একটা সুযোগ পায়।”
সপ্তাহে পাঁচদিন আমাদের দলের অনুশীলন থাকতো, সুতরাং আমার অবসর সময়ের বেশিরভাগ সময়টা ছেলেদের সঙ্গে কাটাতাম। যখন আলোচনা চলতো আমাদের প্রিয় ফুটবল দল এবং খেলোয়াড় নিয়ে, দল ছাড়া অন্য বিষয়ে আমি কথা বলতাম না। জন সম্পর্কে আমি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলাম। সে ছিল আমাদের প্রতিবেশী এবং ওর মা আমার মা দুজনে ভালো বন্ধু। সে যাইহোক, একটা জিনিস যা আমার জানা ছিল কিন্তু জন জানতো না। তোমরা জানো, মেয়েরা যে জিনিসটা জানে সে ঐ ব্যাপারটা বুঝবে না।
একদিন, প্রতিদ্বন্দী দলের বিরুদ্ধে আমরা ম্যাচ প্র্যাকটিশ করছিলাম। আমি খেলার প্রস্তুতি নিয়ে এত নিবিষ্ট ছিলাম যে ভুলে গেছিলাম চেক করতে ক্যালেন্ডারে আমার পিরিয়ডের দিন, প্র্যাকটিশে থাকাকালীন আমার মাসিক ঋতুচক্র শুরু হয়ে যায়। জন দেখতে পায় রক্তের দাগ আমার কাপড়ে সে ফিসফিস করে আমার কানে বলে,“তানিয়া, তোমার রক্তপাত হচ্ছে”। আমি আঁতকে উঠি, এবং ঘরে ছুট মারি কাপড় পাল্টাতে। কিন্তু আমার কাছে পাল্টানোর কাপড় বা প্যাড কিছু ছিল না- আমি ফ্যাসাদে পড়ে গেলাম। ভাগ্যিস, আমার মেয়ে বন্ধু আন্না চেঞ্জিংরুমে প্যাডের প্যাকেট এবং ফুটবল শর্টস নিয়ে ঢোকে। জন ওকে জিনিসগুলি দিয়ে আমার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলো।
সবশেষে যখন আমি সাহসে ভর করে আবার তৈরি হলাম মাঠে ফিরে যেতে নিশ্চিত ছিলাম জন এবং অন্য ছেলেরা হয়তো আমায় নিয়ে মজা করবে। কিন্তু আমাকে চমকে দিয়ে, তারা সবাই আমায় জিজ্ঞেস করলো, “তুমি কী বল নিয়ে খেলা করতে পারবে?” হঠাৎ, আমি বুঝতে পারলাম আমাকে এরমধ্যে টিজ করার কিছু নেই পিরিয়ড এক সহজ ব্যাপার! তাই আমি হাসলাম এবং বললাম, “আমি জেতার জন্য প্রস্তুত!” আমি আর কখনও আমার পিরিয়ড নিয়ে বিড়ম্বিত হইনি, তোমাদেরও হওয়া ঠিক না।
Share your feedback