আমার মাসিক বা পিরিয়ডের সময়ের মজার গল্প!

আমাদের সবারই লজ্জাজনক মুহূর্ত আছে

এই যে Springsters,

আমার প্রথম ঋতুমতী হওয়ার দিনটি মনে আছে। আমি তখন ১২ এবং বন্ধুদের সঙ্গে আমি এক শনিবারে পার্কে বসেছিলাম। আমার পেশির খিঁচুনি আসা পর্যন্ত সবকিছু ভালোমতো চলছিল। আশেপাশে কোনো টয়লেট দেখতে না পাওয়ায় আমি এই খিঁচুনিকে উপেক্ষা করি।

খিঁচুনি চলতে থাকায় দ্রুত আমি উঠে পড়ি এবং প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা শুরু করি যে টয়লেট কোথায় আছে।

আমার বন্ধু ম্যানুয়েল, আমায় তলপেটের নীচে হাত দিয়ে থাকতে দেখেছিল এবং জিজ্ঞেস করল যে আমার টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন আছে কি না। দারুণ লাজুক আমি মাথা নাড়লাম এবং বললাম হ্যাঁ। আমি এটা জানার আগেই ও আমায় ওর বাইসাইকেলে বসিয়ে পার্কের চারপাশে চালাতে লাগল টয়লেটের খোঁজে। আপনারা ভাবতে পারছেন এটা দেখতে কী মজার ছিল? আমি বিপর্যস্ততায় প্রায় মরে যাচ্ছি এবং ম্যানুয়েল চিৎকার করছে, ‘টয়লেট, টয়লেট, আমাদের একটা টয়লেট দরকার।’

যখন আমি বাইসাইকেল থেকে নামলাম, খুব দেরি হয়ে গেছে। আমি নীচে আমার ট্রাউজারের দিকে তাকালাম এবং আমার তখন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেছে! আগের আমি হলে হয়তো মারাত্মক বিপর্যস্ত হতাম এবং কান্নায় ভেঙে পড়তাম, কিন্তু আমি তা করিনি। আমি পিরিয়ডের অনেক কাহিনি পড়েছি স্প্রিংস্টারে এবং পিরিয়ড খুব স্বাভাবিক! ম্যানুয়েল দ্রুত আমায় ওর ব্যাগি সুইটশার্ট পরতে দিল যাতে আমি আমার দাগ ঢাকতে পারি। এটা আমার গায়ে খুব বড় দেখাচ্ছিল যখন আমি এটা গায়ে চড়ালাম আমরা দুজনেই হাসিতে ফেটে পড়লাম যে এটা কত মজার দৃশ্য।

আমি টয়লেটে ঢুকলাম আমার ট্রাউজার পরিষ্কার করতে এবং আমার বাকি বন্ধুদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য বেরোনোর আগে, আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমার পকেটবুক বের করলাম যা আমি সর্বদা সঙ্গে রাখি। আমি আয়নার দিকে তাকালাম এবং নিম্নোক্ত ইতিবাচক বিষয়গুলি আবৃত্তি শুরু করলাম :

  1. পিরিয়ড খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, লজ্জিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
  2. আমার সম্পর্কে মানুষের অভিমত আমায় নির্ধারণ করে না। আমি সবসময় নিজেকে বিশ্বাস করব।
  3. আমি শক্তিশালী। আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি সুন্দর।
  4. আমার হয়তো কখনো বিব্রত এবং অপ্রস্তুত বোধ আসতে পারে কিন্তু সেটাই আমি নই। আমি শক্তিশালী। আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি সুন্দর।

আমি এটা বার বার বলেছিলাম যতক্ষণ না আমার স্নায়ু শীতল হয়েছিল। বয়ঃসন্ধিকালে তোমার পিরিয়ড শুরু হলে তোমার আত্মবিশ্বাস হারানোর কোনো কারণ নেই। বিপর্যস্ত মুহূর্ত সারাজীবন থাকে না। এটাকে যেতে দিতে শেখো এবং ইতিবাচক বিষয়গুলিতে নজর দাও!

Share your feedback