এখানে রইল সংকেতগুলো কীভাবে বোঝা যাবে
তুমি কি কারো কথা ভেবে জাগো? যদি সে তোমার সম্পর্কে ভাবে তুমি কি চমৎকৃত হবে? আমাদেরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমরা যখন বড় হচ্ছি তখন ছেলেদের সম্পর্কে ভাবনা এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এটা বয়ঃসন্ধি ও যৌবনের একটি অংশ।
যেমন আমার বন্ধু সারা। একটা ছেলে, নাম টিজে, ছিল সারার ক্রাশ। কিন্তু প্রথম পদক্ষেপ করার ব্যাপারে সারা ছিল বড্ড নার্ভাস। ও ছিল সেই ধরনের মানুষ যারা কোনো কাজ করার আগে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেয়। ওদের আগের কথাবার্তার ভিত্তিতে টিজে সম্পর্কে একটা ভালো অনুভূতি ছিল সারার, কিন্তু অতিরিক্ত নিশ্চিত হওয়ার জন্য সারা তার বড়বোনকে জিজ্ঞেস করল।
সারা ও টিজে-র শেষ কথাবর্তার কিছু অংশ এখানে দেওয়া হল :
টিজে - ওয়াও সারা, তুমি তোমার হেয়ারস্টাইল চেঞ্জ করেছ। আমি সত্যিই তোমার এই বিনুনিটা পছন্দ করি। আগেরবার তোমার পনিটেলের চেয়ে এটা আমার বেশি পছন্দের।
সারা - ধন্যবাদ! দীর্ঘদিন, দেখা হয়নি।
টিজে - হ্যাঁ, দীর্ঘদিন হয়ে গেল। আমার প্রিয়বন্ধুকে গতকালই তোমার সম্পর্কে বলেছি। ওকে আমি বলেছি যে তোমার সঙ্গে সময় কাটানোটা আমি কীভাবে মিস করছি।
সারা - ওহ দারুণ। তুমি এখন কী করছ?
টিজে - তেমন কিছুই নয়। আমি সেই টিভি শো দেখছিলাম তুমি যেটার কথা বলেছিল। আমার এটা ভালো লাগে! আমরা কি পরের এপিসোড একসঙ্গে দেখতে পারি? বড়বোনকে সারা একথা বলার পর, তার বড়বোন কিছু দারুণ পরামর্শ দিলেন যে কীভাবে বুঝবে কোনো ছেলে তোমায় পছন্দ করছে কি না। তিনি যা বলেছিলেন এখানে দেওয়া হল :
বড়বোনের এই মূল্যবান পরামর্শের ভিত্তিতে সারা তার পদক্ষেপ স্থির করল এবং টিজে-কে বলল যে তার সম্পর্কে সে কী ভাবে। উলটোদিকে সারা জানতে পারল টিজেও একইরকম ভাবে। ইয়া, টিম সারা ও টিজে!
হয়তো তোমার সারার মতো বড়বোন নেই, তবু তুমি তোমার সম্প্রদায়ের অন্য মেয়েদের সঙ্গে সবসময় কথা বলতে পারো যাদের ওপর তুমি আস্থা রাখতে পারো তোমার যে সমস্যা আছে সে বিষয়ে!
Share your feedback