যখন প্রত্যেকে খেয়াল করে তোমার শরীর পরিবর্তিত হচ্ছে
বয় বাই! হ্যাঁ, এটাই আমি তাকে বলেছিলাম যখন সে বহু বছর পর আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিল। জানতে চাও কেন? পড়তে থাকো।
যখন আমি বড় হচ্ছিলাম, বয়ঃসন্ধি সম্পর্কে কিছু কথা শুনেছিলাম। শরীরের পরিবর্তন, পিরিয়ড শুরু হওয়া, সব জায়গায় হরমোনের মাত্রা এবং এরকম আরো কিছু। কিন্তু কেউ আমাকে বলেনি এসব থেকে যে মনোযোগ আসে তার কথাটা। সেজন্যই আমি আমার কাহিনী তোমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।
আমাদের রাস্তায় একটা ছেলে ছিল, নাম জেইন। অনেক বছর ধরে ওর প্রতি আমার একটা দুর্বলতা ছিল, কিন্তু ও কখনো আমার দিকে মনোযোগ দেয়নি। আমি বেশ কয়েকবার ওর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি, কিন্তু ও সাধারণত আমাদের কথাবার্তা সংক্ষিপ্ত করত কিংবা ভান করত আমার কথা শুনতে পাচ্ছে না। আমি এটাকে ওর আমার প্রতি আগ্রহ নেই হিসেবেই ধরেছিলাম। তাই আমি এটা বাদ দিই এবং এগিয়ে যাই।
গত গ্রীষ্মে আমার বেশ বড়সড় শারীরিক পরিবর্তন হয়। আমি খেয়াল করতে শুরু করি যে আমার স্তন বড় হচ্ছে, আমার শরীরের ভাঁজ দেখা দিচ্ছে, এবং আমার নিতম্বও! ফিরে তাকালে বুঝি, শরীরের এইসব পরিবর্তন একমাত্র আমিই খেয়াল করেছিলাম এমন নয়। বেশ কয়েকবছর আমাকে উপেক্ষা করার পর, জেইন ফের বলতে শুরু করল ‘হাই’। প্রথমে এটা ছিল ‘হ্যালো’, তারপর সে বলল কীভাবে আমি আমি ‘বড় মেয়ে’ হয়ে উঠেছিলাম, এবং আমাকে ‘ভালো’ দেখাচ্ছিল। ও চেষ্টা করত আমাকে স্কুলে ছেড়ে আসতে যাতে আমার সাথে সে কিছুতা সময় থাকতে পারে, কিন্তু আমার এসব কিছুই ছিল না। যদিও সে একাই ছিল না। আমার চারপাশের প্রায় প্রত্যেকেই যেন এটা অনুভব করত যে আমার শরীর কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে সেটা আমায় বলে।
হ্যাঁ, আমি হয়তো এখন বড় মেয়ে হয়েছি, কিন্তু একইসঙ্গে আমি একজন অনেক বড় বড় স্বপ্ন থাকা স্মার্ট মেয়ে। আমার লক্ষ্য অর্জনে ও আমার মনোসংযোগ ছিন্ন করুক এই সুযোগ ওকে দিইনি। বিশেষ করে যখন আমি বুঝেছিলাম ওর মনোযোগ সত্যিকারের ছিল না। এটা ছিল সহজ। আমি ওকে বলেছিলাম, ‘বয় - বাই!’
আমি যখন এইসব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম আমার কাছে কেউ কথা বলার জন্য ছিল না, সেজন্য আমার কাহিনী আমার ছোটবোন ও তার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমি অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করেছিলাম যখন তারা একই অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল। যে পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা তোমার হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলা এবং তোমার কাহিনী শেয়ার করা তোমার নিজের জন্য ও যাদের সঙ্গে কথা বলছ, তাদের জন্যেও খুবই উপকারী। এখন আমার বোন ও তার বন্ধুরা অনেক বেশি জানে, ওরা আরো ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সুতরাং যখনই আমি নিজের ও আমার শরীর সম্পর্কে নতুন কিছু শিখি বা জানি, সেটা শেয়ার করতে আমার আনন্দ হয়, কেননা আমি জানি এটা অন্য মেয়েদেরও সাহায্য করবে!
Share your feedback