তোমাকে দিয়েই এর শুরু!
মেয়েরা, শোনো সবাই,
আমার নাম তানিয়া। আমার বয়স ১৭ বছর আর আমি জীবনে সব সময়েই স্বনির্ভর হতে চাইতাম। আমার জীবনটা সুখের ছিল। স্কুলে পড়াশোনা করতাম, ভাল খাওয়াপরার কোনও অভাব ছিল না। কিন্তু আমার বাবার চাকরিটা চলে যেতেই অবস্থা খারাপ হতে লাগল। আমাকে স্কুলের পড়াশোনা ছাড়তে হল, কেননা তিনি আর স্কুলের ফি দিয়ে উঠতে পারছিলেন না।
স্কুল ছাড়াটা খুবই কঠিন ছিল আমার কাছে। মনে হল যেন স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখাটা বন্ধ করে দিতে হবে। কেননা আমার মনে হয়েছিল যে লেখাপড়া করা ছাড়া আমার স্বপ্ন পূরণ করাটা অসম্ভব। একদিন আমি নিজের ঘরে বসে বসে Springster-এর গল্পগুলো পড়ছিলাম, এমন সময় আমি একটা গল্পে ক্লিক করলাম, গল্পের নামটা ছিল নিজেই নিজের মালিক হও। ওই সময় ঠিক এরকম কিছুই আমি পড়তে চাইছিলাম।
সেই গল্পটা পড়ে আমি জানলাম যে আমি নিজের ব্যাবসা শুরু করে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারি। লেখাপড়া করাই এক ও একমাত্র পথ নয়। কিন্তু এই পথে পা ফেলার আগে প্রথমেই আমার মানসিকতাকে আর ধ্যান-ধারণাকেও বদলাতে হবে।
মিস ইন্ডিপিন্ডেন্ট বা স্বনির্ভর হয়ে ওঠার প্রথম পদক্ষেপই হল নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য নিজের প্রতি আর নিজের ক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখতে হবে। আমি জানি, নিজের চারপাশে সব গণ্ডগোল হয়ে যেতে থাকলে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাটা কঠিন হয়ে পড়ে, কিন্তু ওইসবের ওপর চোখ না-দেওয়াই ভাল। তার চেয়ে দুটো জিনিস করা উচিত, যেগুলোর কথা নীচে উল্লেখ করা হল:
“ইতিবাচক কথা চিন্তা করো”
বিজ্ঞানীরা বলেন যে, আমাদের চিন্তাভাবনার ৭০ শতাংশই নেতিবাচক। তোমরা কি তা জানতে? আর আমার ঠাকুমা সবসময় আমাকে বলতেন, ‘নেতিবাচক চিন্তা কখনই তোমাকে ইতিবাচক জীবন দিতে পারে না।” তিনি ঠিকই বলতেন। স্বনির্ভর হওয়ার জন্য নেতিবাচক কথাকে ইতিবাচক কথায় বদলে ফেলতে হয়।
“নিজের দক্ষতা ও প্রতিভাকে জানতে হবে”
আমি স্কুলে পড়াশোনায় ভালই ছিলাম, কিন্তু স্কুলের পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দেওয়া মানেই এই নয় যে আমার বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পেয়েছিল। স্কুলে আমি হিসাবনিকাশে ভাল ছিলাম, তাহলে ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রেও আমি হিসাবনিকাশ ভালই করতে পারব। মোদ্দা কথা হল, তুমি কোন কাজটা ভাল করে করতে পারো, সেটা জানা। এটা জানতে পারলেই তুমি নিজেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত মনে করবে।
সবসময় মনে রাখবে, তোমার চিন্তাধারাই তোমার অনুভূতিকে প্রভাবিত করবে আর তোমার অনুভূতি প্রভাবিত করবে তুমি কী সিদ্ধান্ত নেবে তার ওপর আর তুমি কী পদক্ষেপ করবে তার ওপর। তাই স্বনির্ভর হওয়ার পথে পা বাড়ানোর আগে তোমাকে জানতে হবে যে এটা তোমার পক্ষে করা সম্ভব। একটা কথা জানো কি? এরকমই হয়।
স্বনির্ভর হয়ে ওঠার পথে আমি কীভাবে এগিয়েছি সে সম্পর্কে আরও জানার জন্য স্ক্রল করে নীচে পর্ব ২ দেখো বা সার্চ বার-এ স্বনির্ভর হয়ে ওঠা- পর্ব ২ টাইপ করো।
Share your feedback