আমার কাহিনী এখনও শেষ হয়নি
এই যে মেয়েরা,
আমি খাদিজা এবং আমি হলাম এক চমৎকার বাবা ও ভালোবাসাময় মায়ের 8 সন্তানের একজন। আমার বাবা চাকরি করতেন এবং আমাদের সবাইকে দিয়েছিলেন স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন। কিন্তু যেদিন তাঁর মৃত্যু হল, আমি যে জীবন জানতাম তার সমাপ্তি ঘটল।
আমাদের দেশে, কোনো বিধবার তাঁর স্বামীর ঘরে থাকার কোনো অধিকার নেই। সেজন্য আমার কাকারা আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করলেন এবং আমাদের যেতে হল মায়ের পারবারিক গ্রামের বাড়ির ছোট্ট একটি জায়গাতে। আমি স্কুল থেকে এক মাসের জন্য বাড়িতে থাকলাম পরিবারকে সাহায্য করার জন্য যাতে তারা ইট তৈরি করে নতুন ঘর বানাতে পারে। আমাদের জীবন হয়ে গেল দিন আনি দিন খাই অবস্থা।
কিন্তু আমি কতটা ক্লান্ত বা ক্ষুধার্ত সেটা কোনো ব্যাপার নয়, আমি সর্বদা স্কুলে কঠোর পরিশ্রম করতাম। আমি নিজেকে বলেছিলাম, মাথা নিচু করে ফোকাস থাকো। কৃষিকাজ ও ঘর পরিষ্কারের মাঝে প্রতিটি মুহূর্ত আমি ফাইনাল পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করতাম যাতে পাশ করে সেকেন্ডারি স্কুলে যেতে পারি। আমার কঠোর পরিশ্রম ফল দিল যখন আমি সত্যিই খুব ভালো নম্বর নিয়ে এন্ট্রান্স পাশ করলাম। কিন্তু স্কুল ফিজ দিতে পারিনি আমরা। আমাকে ওই পরীক্ষা ফের দেওয়ার জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল এই আশায় যে গার্লস বোর্ডিং স্কুলের জন্য স্কলারশিপ পেতে হবে - এবং আমি পেরেছিলাম!
একদিন আমার সহপাঠীরা আমাকে রাজি করালো সৈকতে যেতে। সেই তখনই খুব চমৎকার একটি ছেলের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয় এবং ঘটনাক্রমে সে আমাকে তার গার্লফ্রেন্ড হতে বলে। আমি রাজি হই এবং আমরা জুটি বনে যাই! সে আমাকে যৌন সঙ্গমে নিয়ে যায় এবং কয়েক মাস পর আমি হই গর্ভবতী।
এর আগে আমার সঙ্গে কেউ যৌনতা নিয়ে কথা বলেনি। এটা ছিল খুব বিভ্রান্তিকর। এমনকি আমি জানতাম না সুরক্ষা কী এবং কীভাবে এটা ব্যবহার করে। আমি শুধু ওকে বিশ্বাস করেছিলাম যে আমায় নিরাপদ রাখবে। কিন্তু আমি গর্ভবতী হওয়ার পর সবকিছু কেমন পালটে গেল। আমার মা খুব হতাশ হয়ে পড়েছিল এবং আমিও। আমি স্থর করেছিলাম পড়াশোনা শেষ করব কিন্তু আমার গর্ভবতী হওয়া মানে আমি স্কলারশিপ হারালাম।
যখন আমি আমার পুত্রসন্তানের জন্ম দিলাম আমি ছিলাম খুব খুশি ও আনন্দিত যে আমি এই পৃথিবীতে একটি নতুন প্রাণ আনলাম। জীবন খুব কঠিন কিন্তু এর মধ্য দিয়েই চলতে হয়। প্রায় এক বছর পর এক ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে এলেন - তিনি আমাকে বললেন যে তিনি একটি এইডস সাপোর্ট অর্গানাইজেশন-এ কাজ করেন যারা তরুণী, সিঙ্গল মাদারদের স্কুলে যেতে এবং শিক্ষা পেতে সাহায্য করে।
তিনি আমাকে বললেন যে উত্তীর্ণ হতে গেলে আমাকে একজন সহকর্মী শিক্ষাব্রতী হিসেবে কাজ করতে হবে এবং অন্যান্য মেয়েদেরকে আমার কাহিনী বলতে হবে যাতে তারা আমার থেকে শিখতে পারে এবং যখন তারা কোনোকিছু করতে চায় না তখন যাতে ভীত না হয়ে সাহসী হতে পারে। আমি বললাম, ‘হ্যাঁ!’ এই সুযোগের জন্য আমি কৃতজ্ঞ, আমার শিক্ষা চালিয়ে যাবার জন্য এবং আমার মতো অন্য মেয়েদের সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞ।
আমার ছেলের বয়স এখন 3 বছর। আমার মাত্র 2 বছর বাকি হাইস্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট হতে। আমি অনেককিছুর মধ্য দিয়ে এসেছি, কিন্তু আমার কাহিনী এখনও শেষ হয়নি। স্কুল ত্যাগ এবং একটি বাচ্চা হওয়া মাত্র আমার জীবনের একটি অংশ। আমি জানি যদি আমি কঠোর পরিশ্রম করে যেতে পারি এবং কখনো হাল না ছাড়ি তাহলে আমি যে কোনো বাধা পেরিয়ে যেতে পারব।
খুব দ্রুত একটি বাচ্চা হয়ে যাওয়ায় মানুষ আমার সম্পর্কে নেতিবাচক কথাবার্তা বলে, কিন্তু আমি অন্যান্য মেয়ের রোল মডেল হতে পেরেছি বলে গর্ববোধ করি। আমি মনে করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তাদের স্কুলে যেতে উৎসাহ দেওয়া যাদের বাচ্চা হয়ে গেছে, এবং অন্যান্য মেয়েকে বোঝানো যাতে খুব দ্রুত গর্ভবতী না হয়ে যায়।
Share your feedback