এখন কথা বলারসময়
কিছু কথাবার্তা অন্যগুলির চেয়ে বেশি কৌশলপূর্ণ। যেমন আমরা যা পড়তে চাই অথবা করি যখন আমরা বড় হচ্ছি এবং যখন আমরা যৌনতা কিংবা ডেটিঙের জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে করি। তোমার মা-বাবা, শিক্ষক, সঙ্গী বা বন্ধু যার সঙ্গেই হোক না কেন, তোমার জীবনের বড় সিদ্ধান্তগুলি সম্পর্কে তুমি কী বোধ করো সে ব্যাপারে সৎ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এসব বিষয়ে কথাবার্তা বলতে এবং কণ্ঠস্বর দৃঢ় করতে তোমার সাহায্যের জন্য এখানে 5টা পরামর্শ দেওয়া হল।
বসি হওয়ার কথা ভুলে যাও
‘বসি’ হিসেবে কিছু অতিক্রম করার ভয় পেয়ো না, কারণ এরকম কিছু নেই। তুমি শুধু বলছ তুমি কী মনে করো এবং তুমি কী চাও। অনেকসময়, মেয়ে হিসেবে, আমরা চাপ অনুভব করি বিনত ও নম্র থাকতে এবং কোনো গোলমাল না করার জন্য। এসব ভুলে যাও - মেয়েরাও ছেলেদের মতো গোলমাল করতে পারে, সুতরাং কখনো মনে করো না যে অন্যদের স্বস্তি দিতে নিজেকে দমিয়ে রাখা উচিত।
তোমার মতামত গুরুত্বপূর্ণ
পৃথিবীতে তোমার নিজের চেয়ে আপন আর কেউ নেই! এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ। আত্মবিশ্বাসী হও যে তোমার কণ্ঠস্বর এবং মতামত যে কোনো পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ। তুমি যদি তোমার সব বন্ধুদের মতো ডেটিং না করে পড়াশোনায় বেশি ফোকাস করতে চাও, তাহলে সেটাই করো! যদি তোমার পপ মিউজিকের চেয়ে ধ্রুপদী সংগীত ভালো লাগে, তোমার আগ্রহ বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো।
শান্ত হও
যখন আবেগ যেমন রাগ খুব বেশি হয়, পরিষ্কারভাবে কথাবার্তা বলা বেশ কঠিন হতে পারে। যদি তোমার মা-বাবা অথবা কোনো শিক্ষকের সঙ্গে তর্ক হয়, এতে প্রবেশ করো শান্ত মানসিকতায় যা তাঁদের দেখতে সাহায্য করবে যে তুমি খুব পরিণতমনস্কর মতো কথা বলছ।
না বলার শক্তি জানো
যদি তোমার কোনো কিছু করতে স্বচ্ছন্দ বোধ না হয় সেটা বাইরে ঘোরা, স্কিপিং ক্লাশ, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে পরের ধাপে যাওয়া অথবা স্কুলের মলে যেতে বেশি ক্লান্ত অনুভব - জেনো যে তোমার সবসময় ‘না’ বলার অধিকার আছে। ‘না’ বলার সঙ্গে সঙ্গে তুমি তোমার চারপাশের অন্যান্য মেয়েকেও শক্তি দিচ্ছ এটা ভাবতে যে তারাও ‘না’ বলতে পারে!
অন্যান্য মেয়েকে সাহায্য করো
যদি তুমি দেখো ক্লাশে কোনো মেয়ে তার নিজের বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাইছে, কিন্তু কোনো ছেলে বা সহপাঠী তাকে চুপ করাচ্ছে, চেষ্টা করো সমর্থসূচক কিছু বলার যেমন, ‘আমার মনে হয় সারা যা বলছিল সেটা সত্যিই কৌতূহলকর,’ অথবা ‘আমার মনে হয় সারার আইডিয়াটা দারুণ’। অন্য মেয়েদের কথা বলার সুযোগ করে দিলে তা সাহায্য করবে তোমার কথাও অন্যদের শুনতে যখন সেটা তোমার সবচেয়ে বেশি দরকার পড়বে।
Share your feedback