আমার মা-বাবার বিচ্ছেদ হওয়ার পর দৃঢ় আছি

আমি বুঝেছিলাম এটা আমাদের সবার জন্যই ছিল কঠিন

কয়েক বছর আগে, সংসারে সবকিছু ছিল সত্যিই কঠিন। আমার মা-বাবার মধ্যে ভীষণ দ্বন্দ্ব চলছিল এবং শেষপর্যন্ত তাদের বিচ্ছেদ হল এবং আমার বাবা চলে গেলেন। এটা আমাদের সবার, বিশেষ করে আমার মায়ের কাছে ছিল খুব কঠিন ব্যাপার। তখন আমাকে ও আমার দুটো ছোট্ট ভাইকে তার নিজের দায়িত্বে নিতে হয়েছিল, পাশাপাশি তিনি কাজটা ধরে রেখেছিলেন।

বাবাকে ছাড়া আমরা সবাই জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম। সবচেয়ে বড় হিসেবে, আমার পক্ষে যতটা সম্ভব মাকে সাহায্য করার দায়িত্ব নিতে হয়েছিল, কিন্তু এগুলো সবই আমি করেছিলাম তার সঙ্গে তর্ক এবং আমাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে কান্নাকাটি করার পর। এসবে অবশ্য কোনোকিছু ভালো হয়নি। দ্রুত আমি বুঝতে শুরু করলাম মুখ গোমড়া করে থাকলে কোনোকিছু সমাধান হবে না, এবং আমিই একমাত্র দুঃখ বোধ করছিলাম ও চেষ্টা করছিলাম এমন নয়।

সেজন্য আমি নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করলাম। এক বিকেলে আমার ছোট্ট ভাইকে তার হোমওয়ার্কে সাহায্য করব মনস্থ করলাম, পাশাপাশি আমার নিজেরটাও করলাম। সে আমার পাশে বসাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বোধ করল এবং আমি খুব দারুণ অনুভব করলাম এটা জেনে যে গোটাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে মাকে আর এটা নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বসতে হবে না। আমি ওকে সাহায্য করার কাজটা চালিয়ে গেলাম এবং আমার মা বলল যে আমার কাছে সে সত্যিই কৃতজ্ঞ। তার সাথে সাথে আমি মায়ের সঙ্গে আমার সবচেয়ে ছোট ভাইকে পড়ে শোনাতে লাগলাম শোওয়ার সময়ের গল্প এবং মাকে খাবার বানানোর সময় রান্নাঘরে সাহায্য শুরু করলাম - টেবিল সাজানো, তরকারি কাটা এবং বাসন ধোয়া। এমনকি আমাদের মাসিকে বললাম যে আমায় কয়েকটা রেসিপি দেখিয়ে দাও যাতে আমি ডিনার বানিয়ে মাকে সবসময় বিশ্রাম দিতে পারি। টেবিলে ডিনার রেখে তাকে আশ্চর্য করে দেওয়া ছিল দারুণ ঘটনা যখন মা দরজা দিয়ে এসে ঢুকেছিল!

এখন সংসারে সবকিছু অনেক ভালো - এবং সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হল আমি এবং মা জীবনে সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ হয়েছি। আমাদের এখনও যখন তখন তর্ক হয়, কিন্তু আমরা পরস্পরকে সমর্থন করেছি সত্যিকারের খারাপ সময় থেকে উঠে দাঁড়াতে। কী ঘটে সেটা কোনো ব্যাপারই নয়, আমাদের সবসময় পরস্পরের সাথেই আছি।

আমি শিখেছি যে পরিবার হল সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমরা যদি সবাই ইতিবাচক থাকি এবং একসঙ্গে কাজ করি, আমরা যে কোনোকিছু অতিক্রম করতে পারি।

Share your feedback