সাইবার-নিগ্রহ কিভাবে কাটিয়ে উঠবে
ইন্টারনেট একটা দারুণ মজার জায়গা। তুমি নিজেকে প্রকাশ করতে পারো। তুমি তোমার গল্প, চিন্তাভাবনা ও আবেগগুলি ভাগ করে নিতে পারো এবং বিশ্বের যে কোন জায়গার বন্ধুদের সাথে সংযোগ করতে পারো।
বিশ্বজুড়ে প্রিয় বন্ধুরা ছড়িয়ে রয়েছে? হ্যাঁ, প্লীজ!
কিন্তু কিছু জিনিস রয়েছে যা তোমাকে জানতে হবে। প্রথমতঃ ইন্টারনেট একটা সর্বজনীন জায়গা। তুমি সেখানে যা যা শেয়ার করবে, তা তোমার বন্ধুরা, পরিবারের লোকেরা এবং এমনকি সম্পূর্ণ অচেনা লোকেরাও দেখতে পারে। তুমি যদি সতর্ক না থাকো, তুমি খারাপ লোকেদের এবং এমনকি সাইবার নিগ্রহকারীদের নেতিবাচক মনোযোগকে আকর্ষিত করতে পারো। তুমি যদি এরকম কোন পরিস্থিতিতে পড়ো সেক্ষেত্রে তোমার কি করা উচিত?
শান্ত থাকো
আতঙ্কিত হয়ে পড়ো না। প্রতিক্রিয়া দিও না। সত্যি বলছি, এটা ঠিক হয়ে যাবে। শুধু গভীর নিঃশ্বাস নাও। আবার গভীর নিঃশ্বাস নাও। তুমি যদি কোন ঘৃণা বা হুমকিতে ভরা কমেন্ট পাও, সেটিকে পাত্তা দিও না। ঐ অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে রিপোর্ট করো, তারপর তাকে ব্লক করে দাও।
বাস্তব জীবনের মতই, নিগ্রহকারীরা যখন দেখে যে তুমি মানসিক চাপে পড়েছো, তারা উৎসাহিত হয়ে পড়ে। এবং বাস্তব জীবনের মত, ঘৃণাকারীদের উপেক্ষা করো। তাদেরকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মজা নেওয়ার কোন কারণ হাতে তুলে দেবে না। সত্যি? অনেক সাইবার-নিগ্রহকারী শুধু মনোযোগ আকর্ষিত করার একটা পথ খুঁজে নেয়।
গর্র্র্! এটা থামাও!
যে তোমাকে নিগ্রহ করছে সে যদি তোমার চেনা হয় এবং স্কুলে প্রতিদিন তোমার সাথে তার দেখা হয়, তাহলে তাকে থামতে বলো। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে যদি তোমার পিছনে লাগা চালিয়ে যায়, অবিলম্বে একজন শিক্ষক বা একজন নির্দেশনাকারী কাউন্সেলরের মত পূর্ণবয়স্কের সাথে যোগাযোগ করো। নিগ্রহকারী কি করেছে তার উপর নির্ভর করে তাকে সাসপেন্ড করা বা তাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।
বিষয়টা গুরুতর হয়ে যাচ্ছে
তুমি যদি মনে করো যে, তোমার পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব তুমি তা করেছো এবং তা সত্ত্বেও তোমার হয়রানি চলছে, সেক্ষেত্রে প্রথমে তোমার বাবা-মাকে বা তোমার ভরসাযোগ্য কাউকে তা বলা উচিত। দ্বিতীয়তঃ, তুমি যদি একজন শিক্ষক বা পুলিশের কাছে হয়রানির ব্যাপারে রিপোর্ট করে থাকো, সেক্ষেত্রে একজন ভাল গোয়েন্দা হয়ে ওঠো এবং কম্পিউটারের সমস্ত প্রমাণ সেভ করে রাখো।
মেয়েদের ও মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া সাইবার-হয়রানি সত্যিই ভয়ংকর, তাই চলো আমরা সবাই একে-অপরকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের নিজেদের অংশটা করি এবং অনলাইনে একে অন্যের প্রতি ভালো আচরণ করি।
তা ঠিক হয়ে যাবে
সাইবার-হয়রানির শিকার হলে তা তোমাকে মানসিক কষ্ট দিতে পারে, কিন্তু চিন্তা করো না।
শুধু মনে করো যে, তুমি একা নও, অনেক লোক রয়েছে যারা তোমার কেয়ার করেঃ তোমার শিক্ষকরা, বাবা-মা ও তোমার প্রিয় বন্ধুরা। তুমি যদি দেখো যে তুমি সাইবার-নিগ্রহের শিকার হয়েছো তুমি তাদের কাছে যেতে পারো। এছাড়াও জেনে রেখো যে, আরো লাখ লাখা মেয়েরা রয়েছে যারা তোমার মতই একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এবং যেহেতু তারা একদম তোমার মতই, তারা এটি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে তোমাকে সহায়তা করতে পারে।
তুমি এটা করতে পারো মেয়ে!
Share your feedback