এই যে মেয়ে, নিজেকে প্রকাশ কর!
এই যে তুমি! হ্যাঁ তোমাকেই বলছি! তোমার তো চোখ-কান আছে! তুমি কি কখনও একঘেয়ে বোধ করেছ? চাপ বোধ করেছ? দুঃখ পেয়েছ? প্রেমে পড়েছ? মন ভেঙ্গেছ কখনও? তুমি কি কখনও ভেবে দেখছ যে তোমার এই প্রচুর, অদ্ভুত এবং বিস্ময়কর সব অনুভূতিগুলি নিয়ে কি করা যায়? আমরা এর উত্তর জানি:
শিল্প!
যদি তোমার মনে হয় যে তুমি শিল্পী নও, তাহলেও চিন্তার কিছু নেই, কারণ — তুমি যা হতে চাও সেটাই শিল্প, এবং শিল্প সকলের জন্য! যা নির্মাণকারীর চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ করে এবং যেটা মানুষের মনে আবেগ এনে দেয়, সেটাই হল শিল্প। যখন তুমি একটা গানের কথাগুলিকে ভালবেসে ফেল? শিল্প! অথবা যখন কোন লেখার মার্ধূয্য তোমার মনকে ছুঁয়ে যায়? শিল্প!
শিল্প থেকে জীবন, জীবন থেকে শিল্প
শিল্পের সবথেকে ভাল দিক হল, এটা সীমাহীন সম্ভাবনার সৃষ্টি করে, যা দিয়ে তুমি নিজেকে এই পৃথিবীতে মেলে ধরতে পার। একঘেয়ে এবং বিষণ্ন মনে হচ্ছে? নাচ! নাচ একটা গতিযুক্ত কাজ, কিন্তু পুরোপুরি একটা আত্ম-প্রকাশও হয়ে উঠতে পারে। বন্ধুদের সাথে নাচ, অথবা নিজের ঘরে একাই নাচ।
যদি তোমার ভিজুয়াল আর্ট বেশি পচ্ছন্দ হয়, তাহলে সেটা তো শুধুমাত্র কাগজ-পেন্সিল ধরার মতই সোজা। সেখানে কোন বিচার নেই, তুমি শুধু নিজের ভিতরের সমস্ত কিছুকে বেরিয়ে আসতে দাও। মাথায় যা কিছু আছে টেনে আন। যদি কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করে তাহলেও চিন্তা করোনা; তোমার কাজে লাগবার মত মন্তব্যগুলো শোন এবং আর সবকিছুকে অগ্রাহ্য কর।
আবার তুমি লেখকও হতে পার? হতে পারে যে তুমি গল্প বলা এবং লেখার জন্যই জন্মেছ। পৃথিবীর অনেক বড়-বড় শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই লেখক-লেখিকা! ছিমামান্দা এনগোজি আদিচি এবং হোডা বারাকত পড় এবং তাদের লেখার শিল্পকলা দেখ। এবং যদি তোমার কিছু ভাল পড়ুয়া বন্ধু থেকে থাকে, তাহলে তুমি তোমার নিজের বইয়ের ক্লাব তৈরি করতে পার। ভাল লেখা এবং ভাল বন্ধু দুটোই একসাথে চলবে।
শিল্পকে প্রশংসা করতে শেখা মানে জীবনকে আরো বেশি করে প্রশংসা করতে শেখা। হ্যাঁ, বিজ্ঞান, আইন, গণিত, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই সেটা ঠিক। কিন্তু গান, ছবি, আঁকা, সাহিত্য, নাচ — এগুলোর জন্য আমরা বাঁচি। শিল্প ছাড়া, আমাদের জীবনে কোন রং, কোন গান, কোন নাটক থাকত না।
শিল্প তোমার জীবনের প্রতিটি সুখ ও দুঃখের মুহূর্তে তোমার সাথে থাকতে পারে। তোমাকে শুধু নিজেকে প্রকাশ করতে হবে।
Share your feedback