আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ান: ভাগ 1

আপনার নিজের মন্ত্র তৈরি করুন

আত্মবিশ্বাস কোনো গন্তব্য নয়; আপনি হঠাৎ একদিন এটা অর্জন করবেন না। এটা একটা যাত্রাপথ, আর আপনি প্রতিদিন এই পথে একটা করে ধাপ ফেলতে পারেন।

নিজের মন্ত্র তৈরি করলে তা আপনাকে অনুপ্রেরণা ও উদ্দীপনা জোগাতে পারে। এটা আপনাকে প্রতিটি নতুন দিন এবং তার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলোর মোকাবিলা করার জন্য শক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

সবটাই আপনার বিষয়ে

আপনার জন্য কার্যকর একটা মন্ত্র খুঁজে পাওয়াই হল প্রথম ধাপ। কোন বিষয়গুলো আপনাকে ভীত করে তোলে আর কোনগুলো আপনাকে নিজের ব্যাপারে ভাল অনুভব করায় সেই বিষয়ে নিজের সম্বন্ধে যথাসম্ভব সৎ থাকুন।

আপনি শেষ যেবার নিজের ব্যাপারে গর্বিত বোধ করেছিলেন কিংবা শেষ যেবার অনুপ্রাণিত অনুভব করেছিলেন তা লিখতে চেষ্টা করুন। আপনার লেখা কথাগুলো আপনি যখন পরে পড়বেন, তখন প্রতিটি শব্দ বা বাক্য আপনাকে কেমন অনুভব করায় তার ওপরে মন দিন এবং যেগুলো আপনাকে অনুপ্রেরণা দেয় সেগুলো বেছে নিন।

যে শব্দগুলো আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী, সেগুলো আমাদের ভয় দূর করতে পারে। আমরা যদি মানুষের থেকে ভয় অনুভব করি, তাহলে একটা সহজ ‘আমি সমান’ মন্ত্র কার্যকর হতে পারে, কিংবা শান্ত থাকার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন কোনো মানুষের ক্ষেত্রে ‘শক্তিশালী হওয়ার জন্য আমার সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন নেই’ মন্ত্রটি তাকে তার প্রকৃত স্বভাবকে আলিঙ্গন করতে সহায়ক হতে পারে।

অথবা আমরা আমাদের প্রতিভা থেকে, কিংবা আমরা নিজেদের মধ্যে যে প্রতিভাগুলোকে সযত্নে পালন করতে চাই সেগুলো থেকে আমাদের মন্ত্র তৈরি করতে পারি। আপনি যদি সৃষ্টিশীল, ইতিবাচক, কঠোর পরিশ্রমী বা যত্নবান হন - তাহলে যেটাই আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হোক না কেন, আপনার মন্ত্রটা যেন আপনার সর্বোত্তম অংশগুলোকে বর্ণনা করে।

এটিকে জীবনের অংশে পরিণত করুন

আপনি মন্ত্রটি পেয়ে যাওয়ার পরে, পরের ধাপ হল এটিকে আপনার জীবনের অংশ করে তোলা। আমরা যখন হাঁটি তখন আমাদের মন্ত্রগুলো আমাদের কেন্দ্রীয় সুর হওয়া উচিত আর নিষ্প্রাণ অনুভব করার সময় আলোকবর্তিকা হওয়া উচিত। তাই আপনার মন্ত্রকে আপনার প্রতিদিনের জীবনে প্রয়োগ করার উপায় সন্ধান করুন।

এটা লিখুন, আঁকুন, এবং আপনার মানিব্যাগে রাখুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এটা বলুন অথবা আপনার প্রিয় সুরে গান করুন। সৃষ্টিশীল হয়ে উঠুন। এটাকে একটা প্রতীকে পরিণত করুন, আর আপনার টুথব্রাশের ওপরে বা জুতোর ভিতরে লাগিয়ে রাখুন। অথবা মূল শব্দগুলো চয়ন করুন আর এটাকে আপনার পাসওয়ার্ডে পরিণত করুন।

প্রতিদিন নিজেদের একটা ইতিবাচক বার্তা পাঠালে, তা আমাদের আরো বেশি উজ্জ্বল ও সাহসী করে তুলতে পারে। আর যখন এর প্রভাব কেটে যায়, তখন আমরা একটা নতুন মন্ত্র বেছে নিয়ে আবার শুরু থেকে এটা করতে পারি।

Share your feedback