পরিবারের থেকে মূল্যবান আর কিছু হতে পারে না।
আমাদের পরিবারের বাইরের নতুন মানুষদের সাথে পরিচিত হওয়া এক দারুণ ব্যাপার। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাইরের জগতের সাথে আমাদের এই পরিচিতি বাড়তেই থাকে। এবং আমরা আরো অনেক মজাদার মানুষদের সাথে পরিচিত হয়ে উঠি।
তোমার বয়স এখন অল্প। তুমি এই বয়সে তোমার বাবা মায়ের থেকে অন্যদের সাথে সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করবে। তাদেরকে তোমার বেশি ভালো লাগবে। এই অল্প বয়সে আমরা নিজেদের নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে আমরা একটা কথা ভুলেই যাই যে আমাদের বাবামায়ের বয়স বাড়ছে। আমাদের যত বন্ধুই থাকুক না কেন দেনের শেষে আমাদের বাবামা এবং পরিবারই আমাদেরকে নিঃশর্ত ভাবে ভালোবাসেন এবং আমাদের পাশে থাকেন। এইসব বন্ধুরা তো আসবে যাবে কিন্তু বাবামা এবং পরিবার সবসময়েই ছিল আছে এবং থাকবে।
আমরা এমন বলছি না যেন তুমি সবসময়ে তোমার বাবামায়ের কাছেই থাকো (তেমনটা করলে বেশ অদ্ভুতই লাগবে), তবে তোমার বাবামাকে তোমার জীবনের অংশ করে রাখতে এখানে কিছু সহজ উপায় বলে দেওয়া হল:
বাবামাকে সাথে নিয়ে চল
তোমার বন্ধুদের খবরাখবর তাদের দাও এবং তাদের সাথে গল্প কর। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চাও। তাদের অভিজ্ঞতার কোনো শেষ নেই এবং তারা হয়তো তোমাকে ভালো উপদেশই দিতে পারবেন। তোমার বাবামাও একদিন তোমার মতোই কম বয়সের ছিলেন। তোমার মনের অবস্থা তারা ভালোই বুঝে নিতে পারবেন।
পাশে থাকো
বাবা গাড়ি ঠিক করছেন? তাকে সাহায্য কর এবং তার সাথে দুই চার কথা বলে কিছুটা সময় কাটাও। তুমি কি তোমার বাবামায়ের সাথে থাকো না? তাদেরকে ফোন করে জিজ্ঞাসা কর তারা কেমন আছেন। কোনো কারণ ছাড়াই তাদের কথা জানতে ফোন কর। সারা সপ্তাহ ধরে তুমি তোমার স্কুল এবং বন্ধুদের নিয়ে ব্যস্ত থাকো! তাহলে সপ্তাহান্তে 15 মিনিট সময় নিয়ে মাকে ফোন করতে পার। ভুলো না তার জন্যই কিন্তু তুমি এই পৃথিবীতে এসেছ!
তুমি তোমার বন্ধুদের বাড়িতে খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানাতে পারো বা পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য নিমন্ত্রণ জানাতে পারো। তাতে তুমি তোমার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার উভয়কেই পাশে পেতে পারবে। তোমার পরিবার উপলব্ধি করতে পারবে যে তোমার বন্ধুরা সত্যিই কাছের মানুষ এবং তারা তোমার বন্ধুত্বের মর্যাদা দেবেন।
দায়িত্বশীলের মতো আচরণ কর
অ্যানির বয়স 19 বছর এবং তার সাথে তার মায়ের দূরত্ব বাড়ছে। অ্যানি স্বাধীন হতে চায়। সে চায় তার নিজের মতো করে থাকতে এবং কারোর উপরে নির্ভরশীল থাকতে চায় না। তার পথে বাধা হয়ে দেখা দিচ্ছেন তার মা। অ্যানির মা সবসময় অ্যানিকে বাচ্চার মতো আগলে রাখতে চান। কিন্তু অ্যানি অভিযোগ না জানিয়ে কিছু করে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিল। অ্যানি যে দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছে তা তার মায়ের কাছে প্রমাণ করতে চাইল। প্রথমত, পড়াশোনা এবং স্কুলের প্রতি সে মনোযোগ দিল। বাড়ির কাজে সাহায্য করতে শুরু করল এবং পার্ট-টাইম জবও করতে শুরু করল। সবকিছু সামলানো ওই সহজ ছিল না কিন্তু এইসব কিছুর মধ্য দিয়ে তার মা উপলব্ধি করতে শুরু করল যে অ্যানি এখন স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল হয়ে উঠছে! এবং বলার অপেক্ষা রাখে না যে এখন তাদের সম্পর্ক আগের থেকে অনেক বেশি মধুর হয়ে উঠেছে।
Share your feedback