আরো গভীরে নজর দেওয়ার সময় এসেছে
আপনি কোনো কোনো দিন নিজের ব্যাপারে খুবই ভাল অনুভব করতে পারেন, আর অন্য দিনগুলোতে আপনি বাড়ি ছেড়ে বেরোতে চান না কিংবা কাউকে মুখ দেখাতে চান না! সবাই যেগুলোকে আকর্ষণীয় ও সুন্দর বলে সেগুলোর সঙ্গে সবসময় নিজেকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করা কঠিন।
সুস্থ আত্মমর্যাদা এবং নিজেকে নিয়ে খুশি থাকার চাবিকাঠি হল এই পাঁচটি অলীক কল্পনাকে বিশ্বাস করার ফাঁদে পা না দেওয়া!
সত্য: আপনি পার্টি, স্কুল বা কর্মক্ষেত্রে এবং বিশেষভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে যা দেখেন, তা সবসময় এমনই নয়। নিজের ব্যাপারে ভাল বোধ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি মনে রাখতে হয় তা হল, আমাদের সবারই ব্রণ হয়, আমাদের সবারই ত্রুটি আছে আর আমরা সবাই কখনও কখনও অরক্ষিত অনুভব করি। বাস্তবে যেটা প্রয়োজন, তা হল নিজেকে, আপনার ত্রুটিগুলোকে আর অন্য সব কিছুকেই ভালবাসা! আপনি নিজের ব্যাপারে যে একটি বিষয়কে ভালবাসেন সেটা প্রতিদিন সকালে বারবার পুনরাবৃত্তি করে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চেষ্টা করুন।
সত্য: ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা খুবই মজাদার। কিন্তু এই অনুভূতিগুলো সাময়িক। আপনি যখন কোনো মেক-আপ লাগান না আর নিজের প্রিয় পুরনো টি-শার্ট ও শর্টস পরে থাকেন, তখনও আপনি সুন্দর। মনে রাখবেন, ভিতর থেকে সুন্দর হওয়াই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহের একটা দিন মেক-আপ ব্যবহার না করার জন্য আপনার বন্ধুদের সঙ্গে একটা চুক্তি করুন!
সত্য: মানুষ যদি কখনও বিষণ্ণ না হত, তাহলে তারা রোবট হত! আবেগপ্রবণ ওঠাপড়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আপনি কখনও কখনও যেমন অনুভব করেন সেই বিষয়ে আপনি যদি বন্ধুদের সঙ্গে সততার সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে তারাও হয়ত আপনার সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে। এটা আপনাদেরকে দলবদ্ধভাবে একে অন্যের পাশে দাঁড়াতে এবং আস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
সত্য: আপনার জেগে থাকার প্রতিটি মুহূর্তে যখন কেউ আপনার জন্য অমর প্রেম ব্যক্ত করে তখন তা নিশ্চিতভাবেই আপনার আত্মমর্যাদা বাড়ায়! আত্মবিশ্বাসপূর্ণ, সুখী মেয়ে হয়ে ওঠার ব্যাপারটা কিন্তু আপনাকে দিয়েই শুরু হয়।
সত্য: কখনও কখনও মনে হয় যে আপনার কথা কেউই শোনে না, বা আপনাকে বোঝে না, আর আপনি যখন গম্ভীর থাকেন তখনও তারা শুধুই আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। লোকেরা যদি আপনাকে ভুল বোঝে, তাহলে দু’ধাপ পিছনে যান আর একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার পরিস্থিতির দিকে তাকান। যে মানুষরা আপনাকে বুঝতে পারেন না বলে আপনার মনে হয়, তাদের সঙ্গে একটু গল্পগুজব করলে হয়ত ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য হতে পারে, অথবা আপনাকে আত্মবিশ্বাস জোগাতে পারে যাতে আপনার দারুন ভাল কিছু বলার থাকলে আপনি তা প্রকাশ করা চালিয়ে যেতে পারেন।
তাই আপনি পরের বার যখন এই অলীক বিশ্বাসগুলোর মধ্যে কোনো একটার ফাঁদে পা দেবেন, তখন আয়নায় দেখুন আর নিজের উদ্দেশ্যে বলুন: “আমি সুন্দর, আমি শক্তিশালী, আমি সমর্থ!
Share your feedback