প্রত্যেক মেয়ের জন্য।
আমার যখন নিজেকে আত্মবিশ্বাসী আর বলিষ্ঠ মনে হয় যখন মনে হয়, আমি যে কোনও কিছুর মোকাবিলা করতে পারি, তখনই আমার নিজেকে সুন্দর মনে হয়। বড় হতে হতে আমার শরীরকে নানা রকম মানসিক আর শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, এইসবের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে আমার নিজের সৌন্দর্যকে ভুলে যাওয়াটা খুব সহজ ছিল।
কিন্তু আমি আমার প্রকৃত সৌন্দর্য বহুদিন আগেই খুঁজে পেয়েছি। আর কীভাবে পেয়েছি, সেই রহস্যগুলো আজ আমি তোমাদের বলব। সবচেয়ে বড় রহস্যটা কী? সেটা হল এই যে, তোমার যা যা চাই, তার সবই তোমার আছে!
অন্যের চেয়ে তুমি যেখানে আলাদা সেটাকে আপন করে নাও
আমার মুখে অনেক তিল, তাই নিয়ে আমার খুব লজ্জা লাগত, কেননা আমার কোনও বন্ধুবান্ধবীর মুখে এত তিল ছিল না। কিন্তু আমার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝলাম, প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, আর সেটাই তাদের সুন্দর করে তোলে।
আমি নিজের চেহারা পাল্টাতে পারব না- আমি নিজেকে লম্বা করে তুলতে পারব না বা আমি নিজের চোখর রংও পালটাতে পারব না। আর আমি এসব করতে চাইও না। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের চেয়ে আলাদা, আর এই আলাদা হওয়াটাই সৌন্দর্য!
সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত তুমি নিজেই
সৌন্দর্য সম্পর্কে খুবই সংকীর্ণ ধারণা প্রচার করে পত্র-পত্রিকাগুলো আর ইন্টারনেট। সেসবের মধ্যে না-গিয়ে তোমার নিজের অন্তরের সৌন্দর্যকে খুঁজে বের করো। নিজেকে আয়নায় দেখো বা তোমার চারপাশের লোকজনদের দেখো। নিখুঁত ত্বক বা সুন্দর দাঁত থাকলেই মানুষ সুন্দর হয় না- মানুষ সুন্দর হয় এই গুণে যে, সে কত মজার মজার কথা বলতে পারে বা সে কত ভালো বন্ধু হয়ে উঠতে পারে!
অন্যদের জিজ্ঞাসা করো
আমরা নিজেরা কেন সুন্দর সেটা ভুলে যাওয়াটা খুবই সোজা। কখনও কখনও সে কথা মনে করানোর জন্য অন্যকে জিজ্ঞাসা করতে হয়। আমি আমার বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সৌন্দর্য বলতে তারা কী বোঝে। তারা আমাকে বলেছিল যে, সৌন্দর্য মানে আমার মিষ্টি হাসি, হো হো করে আমার হেসে ওঠা, মানুষকে ভালোবেসে আমার জড়িয়ে ধরা।
নিজের অন্তরকে প্রথমে জাগাও
সৌন্দর্যের আসল রহস্য নতুন ফেস ক্রিম বা মেক-আপ নয়। নিজের শরীরকে প্রকৃত ভালোবাসা দেওয়ার মধ্য দিয়েই শুরু হয় প্রকৃত সৌন্দর্য। একটা ফুলকে ফুটে উঠতে যা যা দরকার হয়, তোমার শরীরের জন্যও সেগুলোই দরকার- পর্যাপ্ত জল, রোদ আর পুষ্টি। যা খেলে তোমার শরীর-মন ভাল থাকে তা-ই খাও আর শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখো। তোমার সৌন্দর্য ফুটে উঠবে!
ঘাম ঝরাও
লম্বা একটা দৌড় দেওয়ার পর আমার মুখ লাল হয়ে যায়, ঘেমেনেয়ে একসা হয়ে যাই। কিন্তু তখনই আমার নিজেকে সুন্দর মনে হয়। তখন আমার নিজেকে খুব সুস্থ আর সবল মনে হয়। ব্যায়াম করলে তোমার শরীরে আনন্দের হরমোন ভর্তি হয়ে যায়, যার ফলে তুমি নিজেকে ভেতর থেকে সুন্দর মনে করো এমনকী বাইরে থেকেও সুন্দর মনে করো। যে-খেলা খেললে বা যে-ব্যায়াম করলে তোমার শরীর-মন ভাল লাগে, সেই খেলা খেলো বা সেই ব্যায়াম করো!
Share your feedback