প্রতিমাসে কয়েকদিনের জন্য তোমার এই জিনিসটি দরকার হবে
হতে পারে তুমি হয়তো দেখেছো তোমার দিদি বা মায়ের ব্যাগে এই জিনিসটা এবং অবাক হয়ে ভেবেছো কিসের জন্য এটি। হ্যাঁ, একেই বলে স্যানিটারি ন্যাপকিন!
তোমার জীবনের সেই ক্ষণ সমাগত যে সময় তোমার শরীরে কিছু পরিবর্তন আসছে। যাকে বলে যৌবনারম্ভ, যার সূচনা হয় রজঃস্রাবের মাধ্যমে। আমাদের রজঃস্রাব হলে আমরা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করি। কিন্তু তার আগে আমরা জেনে নিই কীভাবে ব্যবহার করবো এবং রজঃস্রাবের সময় কী ঘটে থাকে।
রজঃস্রাব হল ঋতুচক্রের একটি অংশ, প্রতিমাসে যা ঘটে এবং আমাদের শরীরকে প্রস্তুত করে তোলে সন্তান ধারণ করতে। যেভাবে এই পরিক্রমাটি ঘটে তাহলো এরকম:
1) 1-7 দিন: ঋতুচক্র শুরু হয় যখন তোমার জরায়ু আস্তরণ ত্যাগ করতে শুরু করে। তোমার শরীর যোনিপথ দিয়ে রক্ত পরিত্যাগের মাধ্যমে তা সংগঠিত করে। এর নাম রজঃস্রাব এবং কয়েকদিন এটি হয়ে থাকে, তা আলাদা আলাদাভাবে স্ত্রীলোকের ধরণের উপর নির্ভর করে। রক্ত শোষণ করার জন্য এসময় আমরা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করি।
2)7-14 দিন: এসময় শুরু হয় ডিম্বস্ফোটনের। তোমার ডিম্বাশয় উপযুক্ত হয়ে ওঠে ডিম সৃষ্টি করতে। ইতিমধ্যে, তোমার জরায়ু শুরু করে দেয় আবরণ তৈরি করতে।
3)14-17 দিন: এবার, তোমার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বের মুক্তি ঘটে, সেগুলি নিজস্ব পথে জরায়ুতে গিয়ে উপস্তিত হয়। এসময় একজন নারীর শরীর গর্ভবতী হবার উপযুক্ত থাকে। যদি তুমি সন্তান ধারণ না করতে চাও তবে এসময় যৌনমিলনের সময় গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে হবে-আর যৌন সংক্রামক হতে পারে এ ধরনের ঘটনা থেকে এড়িয়ে যাওয়া যায় তার জন্যও ব্যবহার করতে হবে।
4)17-25 দিন: ডিম্ব ক্রমাগত জরায়ুতে বিচরণ করে। যদি এগুলি নিষিক্ত না হয়, এগুলি ভেঙে যায় এবং শরীর থেকে বার হয়ে যায়।
5)25তম দিন: তোমার শরীর জরায়ুতে লাইনিং ত্যাগ করতে শুরু করবে এবং নতুন করে তোমার ঋতুচক্র আরম্ভ হবে।
কী আশ্চর্য্য না, কী ঠিক তো? অর্থাৎ এই হল পুরো ঘটনা যা রজঃস্রাবের সময় ঘটতে থাকে। যদিচ সবার পিরিয়ডের সময় উপরোক্ত একই নমুনায় অনুসৃত হয় না। প্রথমদিকে শুরুর সময় পিরিয়ড অনিমিত হয়ে থাকে। কিন্তু বিষয়টা একেবারেই সাধারণ ব্যাপার!
এবার এসো জেনে নিই স্যানিটারি ন্যাপকিন কী কাজে লাগে। এখানে কিছু টিপস যুক্ত করা হলো স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের:
এ)প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে ন্যাপকিনটি নতুন, নিশ্চিত হও এটির নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে।
বি)ন্যাপকিনের উপরের প্লাস্টিক স্ট্রিপটি তুলে ফেলতে হবে প্যান্টিতে ব্যবহারের আগে, প্যান্টিতে এর পিছন দিকে থাকা স্টিকারের দিকটি বসাতে হবে। তোমার অন্তর্বাসের নিরাপত্তা দেবে স্টিকারটি। নতুবা ন্যাপকিনটি এক জায়গায় থাকবে না বা পড়ে যাবে।
সি)নানাপ্রকারের ন্যাপকিন হতে পারে, প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী তা নির্ভরশীল হয়। তোমার নির্বাচন হোক যথার্থ সেটি যা সবথেকে ভালো ফিট করবে।
ডি)ন্যাপকিন ভরে গেলে বদল করতে হবে, বা ছ’ঘন্টা অন্তর পাল্টে ফেলবে। একেবারে ঠিকঠাকভাবে এটিকে শেষ করে ফেলো, যাতে সবসময় নতুন ন্যাপকিন ব্যবহার করে তুমি থাকবে সবসময় তরতাজা এবং পরিস্কার!
Share your feedback