আমি কীভাবে আমার পিরিয়ড সম্পর্কে বাবাকে বলেছিলাম!

আমি যতটা হবে ভেবেছিলাম এটা তত খারাপ ছিল না

আমার যখন প্রথমবারের মতো পিরিয়ড হয়েছিল, আমি আশ্চর্য বা ভীত হইনি, কেননা আমাদের বন্ধুদের দলের মধ্যে আমরা পিরিয়ড সম্পর্কে অনেক কথা বলেছিলাম, এবং আমাদের দু-একজন বন্ধুর কয়েকমাস আগেই পিরিয়ড হয়েছিল।

আমি যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম তা হল এটা কী করে বাবাকে বলব!

বাড়িতে, শুধুমাত্র আমার বাবা, আমি এবং আমার ছোট্ট বোন ছিলাম। কখনো কখনো তাঁর কাছে ‘মেয়েলি ব্যাপার’ ব্যাখ্যা করা মুশকিল হত, কারণ তিনি এসবের কখনো অভিজ্ঞতা পাননি। কিন্তু তবু আমি জানতাম আমাদের এনিয়ে কথা বলতে হবে।

তাঁকে আমি কীভাবে বলব সেটা আগেই আমি লিখে রেখেছিলাম । আমি জানতাম যে তিনি জানেন কীভাবে পিরিয়ড কাজ করে, কিন্তু আমি জানাতে চেয়েছিলাম যে এটি ছিল আমার জীবনের খুব বড় মুহূর্ত, এবং যেহেতু আমাদের মা নেই তাই স্যানিটারি প্যাড এবং আমার যদি খিঁচুনি বা মাথাব্যথা হয় তাহলে সম্ভবত পেইনকিলার কেনার জন্য তাঁর সমর্থন আমার চাই।

একদিন রাতে ডিনারের পর, যখন আমার বোন শুতে চলে গেল, আমি লম্বা শ্বাস টেনে বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম আমরা কথা বলতে পারি কি না। আমার দ্রুত হৃদস্পন্দন হচ্ছিল, কিন্তু যখন তাঁকে আমি বললাম, তাঁর মুখই সব বলে দিল। এ বিষয়ে আমি যে সাহসী হয়ে তাঁকে সব বলতে পেরেছি সেজন্য তিনি আমার জন্য গর্বিত হলেন এবং বললেন আমার যদি কোনোকিছু দরকার পড়ে কিংবা প্রশ্ন থাকে তিনি আমার জন্য সর্বদা আছেন, এবং কোনোকিছুই জিজ্ঞেস করতে বিব্রত না হতে।

আমি খুব স্বস্তি বোধ করেছিলাম! আমার জীবনের এই মাইল-ফলক কঠিন সময় হতে পারত, কিন্তু আমার বাবা এ বিষয়ে খুবই শান্ত ছিলেন। এবং এখন আমি জানি যে তাঁর সমর্থন আমার কাছে আছে, আমি খুব খুশি হলাম।

সুতরাং তোমার পিরিয়ড সম্পর্কে যদি মা-বাবা অথবা অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলার দরকার পড়ে অথবা অন্য কোনো প্রসঙ্গে যা নিয়ে তুমি উদ্বিগ্ন বা বিব্রত, তাহলে এসব পরামর্শ কাজে লাগাতে পারো :

  1. আত্মবিশ্বাসী হও (এমনকি তুমি যখন ভেতরে ভেতরে ততটা সাহসী বোধ করছ না!)।
  2. শান্ত থাকো এবং লাজুক হয়ো না - পিরিয়ড মানবজীবনের স্বাভাবিক সত্য।
  3. তোমার দরকার পড়লে সাহায্য চাও।
  4. স্পষ্টভাবে তোমার অনুভূতি ব্যাখ্যা করো।

তুমি এগুলো পেয়েছ!

Share your feedback